আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে ‘মনকষাকষির’ মাঝে নরেন্দ্র মোদীর চিন সফরে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে বিরোধী বাম-কংগ্ৰেস। একদিকে চিনা রাষ্ট্রপতি শিং জিনপিং (Xi Jinping)-র সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর করমর্দনকে বিজেপি (BJP) সরকারের “মেরুদন্ডহীনতা”র পরিচয় হিসেবে দেখছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, পারস্পরিক সংঘাত মিটিয়ে ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’ সম্পর্কে ভারতের ক্ষেত্রে নতুন আশার আলো দেখছে বাম শিবির।
চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত মেলানোকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিআইএমের (CPIM) জেনারেল সেক্রেটারি এম এ বেবী (M A Baby)। “সুসংবাদ”! রবিবার মোদীর তিয়ানজিন সফরের ইতিবৃত্তকে এই বলেই উল্লেখ করলেন বেবী। বিশেষকরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) শুল্ক নিয়ে চোখ রাঙানির আবহে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে সিপিআইএম।
রবিবার এম এ বেবী বলেন, “বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ ভারত এবং চিন। অর্থাৎ, বাজার, অর্থনীতি এবং লোকবলের দিক থেকে দুটি অন্যতম বৃহৎ দেশ যদি তাঁদের পারস্পরিক সংঘাত এবং বোঝাপড়া মিটিয়ে নিতে পারে তাহলে দুই দেশের ক্ষেত্রেই তা লাভজনক হবে।” ভারত-চিন একত্রিত ভাবে কাজ করলে একটি বহুমেরু বিশ্ব তৈরি করা সম্ভব বলে আশাবাদী সিপিআইএম জেনারেল সেক্রেটারি।
উল্টোদিকে চিনের সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে নিরেন্দ্র মোদী সরকারকে কটাক্ষ করছে কংগ্রেস (Congress)। রবিবারেই ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় আক্রমণ, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে সরাসরি সমর্থন এবং অস্ত্র বিক্রি নিয়ে চিন এবং মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ।
তিনি বলেন, “মোদী এবং জিংপিং-এর আলোচনার মূল্যায়নের আগে গালওয়ান উপত্যকায় ২০ জন বীর শহীদদের বলিদানের কথা ভাবা উচিৎ”। এটাই কি তবে ভারতের “নিউ নর্মাল”, বলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। মোদীর চিন সফর নিয়ে বিজেপি-বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম উল্লেখযোগ্য প্রথম সারির দুই দল বাম-কংগ্রেসের সম্পূর্ণ দ্বিমত জল্পনার উস্কানি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।