কেরালার CPI(M) সেক্রেটারিয়েট শুক্রবার বৈঠক করে স্পষ্ট জানিয়ে দিল — প্রধানমন্ত্রী স্কুল ফর রাইজিং ইন্ডিয়া (PM SHRI) প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়াবে না রাজ্য সরকার। এর ফলে নিশ্চিত হলো, কেন্দ্রের শিক্ষাপ্রকল্পে রাজ্যের স্বাক্ষর বহাল থাকবে এবং সরকার এর শর্ত মানতে আগ্রহী। CPI(M)-এর পক্ষ থেকে রাজ্যের অবস্থান বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও বিষয়টি ঘিরে বাম শরিকদের মধ্যে ক্ষোভ তীব্র হচ্ছে।
রাজ্য সম্পাদক এম. ভি. গোবিন্দনের নেতৃত্বে এই বৈঠক হলেও মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং LDF আহ্বায়ক টি. পি. রামাকৃষ্ণন উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকের পর দল জানায়, ২৯ অক্টোবরের পর বৃহত্তর LDF সভা ডাকা হবে— যেখানে শরিকদের আপত্তি এবং মতপার্থক্য নিয়ে আলোচনা হবে।
CPI-র বিরোধিতা, জোটের ভেতরেই অসন্তোষ:
এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে LDF-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম দল CPI প্রকাশ্যে আপত্তি জানিয়েছে। CPI-র মতে, আদর্শগত অবস্থান না মিলিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সই করা বাম রাজনীতির পরিপন্থী।
কঠোর আক্রমণে কংগ্রেস: ‘BJP-LDF সেতুবন্ধন’:
বিরোধী দলনেতা ভি. ডি. সথিশন অভিযোগ তুলেছেন— CPI(M) একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং CPI বা জোটের মতামতও নেয়নি।
তিনি মন্তব্য করেন, “RSS-এর এজেন্ডা বাস্তবায়নেই সরকার নেমেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরই মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান পাল্টে গেল। কেন্দ্রের শর্ত মানা মানে আত্মসমর্পণ।”
সথিশন জানান, অর্থ নেয়ার আপত্তি তাদের নেই, কিন্তু “আদর্শ বিসর্জন না দিয়ে, শর্তহীন অবস্থায়” কেন্দ্রীয় প্রকল্প মানা উচিত ছিল— যেমনটি কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলো করেছে।
তিনি আরও বলেন, CPI-M যদি শরিকদের মতই না নেয়, তবে CPI-র LDF-এ থাকার নৈতিক ভিত্তি কোথায়— এই সিদ্ধান্ত এখন CPI-কেই নিতে হবে।
UDF-এর বার্তা: CPI এলে আপত্তি নেই: CPI(M) PM SHRI Decision
এদিন UDF কনভেনর তথা সাংসদ অদূর প্রকাশ জানান, CPI যদি LDF ছাড়তে চায়, UDF তাদের স্বাগত জানাতেই প্রস্তুত — “সিদ্ধান্ত তাদেরই,” মন্তব্য তাঁর।
রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের আভাস:
PM SHRI-তে সইকে কেন্দ্র করে LDF-এ দূরত্ব বাড়ছে, CPI প্রকাশ্যে অসন্তুষ্ট, অন্যদিকে UDF সুযোগে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আগামী LDF বৈঠকই নির্ধারণ করবে, এই বিরোধে সমাধান আসবে নাকি কেরলের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের সূচনা হবে।


