পরমানু চুক্তিতে সমর্থন প্রত্যাহার, বামেদের ‘বেলাইনে’র কাণ্ডারী কারাতই ফের সেক্রেটারি

সীতারাম ইয়েচুরির আকস্মিক মৃত্যুর পর সিপিএমের (CPIM) সাধারন সম্পাদকের পদ আপাতত খালি। আর সেই পদেই এবার দ্বায়িত্ব নিতে চলেছেন প্রকাশ কারাত। দিল্লিতে পার্টির সদর দফতর…

সীতারাম ইয়েচুরির আকস্মিক মৃত্যুর পর সিপিএমের (CPIM) সাধারন সম্পাদকের পদ আপাতত খালি। আর সেই পদেই এবার দ্বায়িত্ব নিতে চলেছেন প্রকাশ কারাত। দিল্লিতে পার্টির সদর দফতর এ কে গোপালন ভবনে পলিটব্যুরোর বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দলের পলিটব্যুরোর অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করবেন। শুক্র ও শনিবার দুপুর পর্যন্ত সিপিএমের পলিটব্যুরোতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হবে।  

‘রাহুলের তিন প্রজন্মও পারবে না’, নির্বাচনী সভায় হুঙ্কার অমিতের!

   

সেখানে রবি ও সোমবার দুদিন ধরে চলা বৈঠকের পরই কারাতের নামে সিলমোহর পড়বে। তবে এখনও পর্যন্ত কারাতের নামই সম্ভাব্য চূড়ান্ত হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে। তবে সিপিএমের নিয়ম অনুযায়ী ৭৫ বছর বয়সের বেশি কাউকে দলের সক্রিয় ভূমিকায় রাখা যাবে না। ২০২১ সালেই এই নিয়ম লাঘু হয়েছিল দলে। কিন্তু প্রকাশ কারাতের বয়স ৭৫ পেরিয়ে যাওয়ায় সেই নিয়মের বেড়াজাল টপকাতে পারবেন কিনা সেটাই দেখার। 

Whale: তিমির বহুমূল্য বমি উদ্ধার, পুলিশের জালে পাচারকারীরা

শনিবার দিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয় সিপিএমের এই প্রয়াত নেতার স্মরণসভা। সীতারামের স্মরণ সভায় হাজির ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি আচমকা অসুস্থ হয়ে দিল্লির একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সিপিএমের এই প্রবীন নেতা। আগামী বছর এপ্রিলে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে বসবে পার্টি কংগ্রেস। তখন সেখানেই ঠিক হবে দলের পরবর্তী রণকৌশল।

Advertisements

অতীতে মনমোহন সিং জমানার প্রথম ইউপিএ আমলে দলের সাধারন সম্পাদক ছিলেন প্রকাশ কারাত। সেই সময় ভারত-মার্কিন অসামরিক পরমানু চুক্তি নিয়ে মনমোহন সিং সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিতে চাপ বাড়িয়েছিল সিপিএম। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর আশঙ্কা জাঁকিয়ে বসে তৎকালীন মনমোহন সরকারকে।কিন্তু মার্কিনি অস্বস্তির জেরে কংগ্রেসের হাত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রকাশ কারাত। তবে বামেরা হাত ছাড়লেও মুলায়ম সিং যাদবের সমর্থন মেলায় শেষপর্যন্ত টিকে যায় তৎকালীন ইউপিএ-১ সরকার। পরে সাংসদে আস্থা ভোটেও পাশ হয়ে ভারত-মার্কিন পরমানু চুক্তি। 

‘বন্যা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনাই করেননি মুখ্যমন্ত্রী’:দিলীপ

যদিও কারাতের ওই সিদ্ধান্তকে অদূরদর্শীতার অভাব বলে চিহ্নিত করেছেন অনেকেই। তাঁর কারণ কংগ্রেসের হাত ছাড়ায় পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোট গঠন করে ২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে কংগ্রেস-তৃণমূল। আর ওই নির্বাচনেই পতন ঘটে বাংলায় ৩৪ বছরের বাম রাজত্বের। সিপিএমের বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে কারাতদের অদূরদর্শীতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছে দেশের রাজনৈতিক মহল।