বুথ পুনর্বিন্যাসের রিপোর্ট “অসত্য”, অভিযোগ CPI(M)-এর

জনবিন্যাস বাড়ছে তাই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বুথের (Poling Booth) সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকের পর ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। জনবিন্যাসের…

বুথ পুনর্বিন্যাসের রিপোর্ট "অসত্য", অভিযোগ CPI(M)-এর

জনবিন্যাস বাড়ছে তাই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বুথের (Poling Booth) সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকের পর ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। জনবিন্যাসের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান বুথের সংখ্যা ৮০ হাজার। অতয়েব, যেসব বুথে ১২০০-র বেশি ভোটার রয়েছে সেগুলিকে ভেঙে নতুন বুথ তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে প্রায় ১৪ হাজার বুথ বেড়ে রাজ্যের মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯৪।

এই পুনর্বিন্যাস নিয়ে অসন্তোষ সিপিআইএম (CPIM)-এর। দলের তরফ থেকে এদিন সিইও দফতরে সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী, সুমিত দে, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাস এবং কল্লোল মজুমদার। সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক লাহিড়ীর অভিযোগ, বুথের পুনর্বিন্যাস জেলার নির্বাচনী অধিকারিকের দেওয়া রিপোর্ট “অসত্য”।

   

তিনি বলেন, “রাজ্যের প্রতিটা বুথে ৭০ থেকে ৭৫ মৃত বা ভুয়ো ভোটার রয়েছে। কিন্তু তথ্য দিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে ক্ষোভ উগড়ে দেন সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ওই ভুয়ো ভোটারদের আগে চিহ্নিত না করে বুথের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে অখুশি সিপিআইএম। তাঁদের বক্তব্য, “সর্বসম্মতভাবে বুথ পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে” বলে কমিশনের দাবি ভুল। কেননা তাঁদের পক্ষ থেকে যে “আপত্তি” জানানো হয়েছিল সেগুলি পর্যালোচনা না করেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিষয়ে তাদেরকে ফের নতুন করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিপিআইএম।

Advertisements

উল্লেখ্য, বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তাইকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। এসআইআর-এর প্রস্তুতির অগ্রগতি জানতে সব রাজ্যের সিইও-র কাছেই পৌঁছেছে নির্বাচন কমিশনের চিঠি। আগস্ট মাসের মধ্যেই প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী, এদিন রাজ্যের সিইও দফতরে দাকা হয় সর্বদলীয় বৈঠক। সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পানীয় জল, বিদ্যুৎ, চেয়ার-টেবিল-বেঞ্চ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।