সোজা তিহার জেলে ঠাঁই! সেখানেই ভাত খাবে সায়গল হোসেন।গোরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় সায়গল হোসেনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। আদালতের নির্দেশে সায়গলকে তিহার জেলে (Tihar Jail) পাঠানো হবে।
গত ২২ অক্টোবর তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আসানসোল জেল থেকে দিল্লিতে আনা হয়। কোটি কোটি টাকার গোরু পাচার তদন্তে সায়গল সরাসরি জড়িত বলেই দাবি করা হয়েছে।
দিল্লিতে ইডি দফতরে দফায় দফায় জেরা হয় সায়গলের। সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সূত্রের খবর শিক্ষিকা হয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন নিয়েই সন্দেহ ইডির। জানা যাচ্ছে বিএসএফের মদতে বাংলাদেশে গোরু পাচার করার কাজ অনুব্রতর নির্দেশে দেখাশোনা করত সায়গল। রাজ্য সরকারের কর্মী হয়ে তার বিপুল সম্পত্তি নিয়েও ইডি সন্দিহান। একাধিক সূত্রে সায়গলের সঙ্গে পাচার যোগ নিশ্চিত বলে জানাচ্ছে ইডি।
আদালতে ইডির তরফে সওয়াল করা হয় যাতে সায়গলকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। সায়গলের আইনজীবীরা দাবি করেন, সায়গলকে যেন পশ্চিমবঙ্গের জেলে পাঠানো হয়। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে পরপর দুই দিন ধরে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হচ্ছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। বুধবার ও বৃহস্পতিবারেও ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। দুই দিনে প্রায় ১৫ ঘন্টা ধরে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। পরপর দুদিন জিজ্ঞাসাবাদে পরে শুক্রবারেও তলব করা হল অনুব্রত কন্যাকে৷ এখনও অবধি অনুব্রত কন্যার কাছ থেকে সদুত্তর না পাওয়ায় তাকে বারবার তলব করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইডি
সূত্রে খবর, প্রথম থেকেই সুকন্যার সম্পত্তি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল ইডি। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করা হয়েছে তাকে। একইসঙ্গে এদিন ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য ও হিসেবরক্ষক মনীশ কোঠারিকেও তলব করেছিল ইডি৷ বুধবার ও বৃহস্পতিবার, দুই দফায় ঘন্টার পর ঘন্টা জেরার করে একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসার পরেও কোনও উত্তর মেলেনি৷ তাই ফের তলব করা হয়েছে সুকন্যাকে।