পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি পঞ্চম তথা সর্বশেষ মামলাতেও আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। সোমবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত লালুপ্রসাদের সাজা ঘোষণা করে। ডোরান্ডা ট্রেজারি কেলেঙ্কারি মামলায় লালুপ্রসাদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে লালুপ্রসাদ অবৈধভাবে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন এই অভিযোগ প্রমাণ হওয়াতেই লালুকে সাজা পেতে হল।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলার তদন্ত শেষ করে প্রাক্তন রেল মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে। দীর্ঘ শুনানির পর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত লালুপ্রসাদকে দোষী সাব্যস্ত করে। গত সপ্তাহেই লালুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এদিন শুধু সাজা ঘোষণা হল।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির আরও চারটি মামলায় লালুকে কারাদণ্ড দিয়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। ওই চারটি মামলায় এতদিন জামিনে মুক্ত ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারই লালুর জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু জামিনের মেয়াদ ফুরানোর আগেই সোমবার লালুপ্রসাদকে পঞ্চম তথা পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির শেষ মামলাতেও সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত লালুকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল।
লালু ছাড়াও অর্থ তছরুপের এই মামলায় আরও ৪৬ জনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। একইসঙ্গে ২৪ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন চলছে উত্তরপ্রদেশে এখনও চার দফার নির্বাচন বাকি। এরই মধ্যে লালুপ্রসাদের সাজা ঘোষণাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালু ছাড়াও শাস্তি পেয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি প্রাক্তন চেয়ারম্যান ধ্রুব ভগৎ ও পশুপালন বিভাগের সচিব বেক জুলিয়াস প্রমুখ। এদের প্রত্যেককে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।