HomeBharatজেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ সহকারী পদত্যাগে রাজনীতিতে তোলপাড়

জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ সহকারী পদত্যাগে রাজনীতিতে তোলপাড়

- Advertisement -

শুক্রবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা করেছেন তার প্রধান সচিব আন্দ্রি ইয়রমাকের পদত্যাগের। এ ঘটনায় তৎক্ষণাতই দেশের রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইয়রমাকের বাসভবন এবং অফিসে একই দিনে দুর্নীতি দমন সংস্থা হঠাৎ অনুসন্ধান চালায়, যা দেশটিতে অভূতপূর্ব ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।ইয়রমাক ছিলেন জেলেনস্কির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহকর্মী এবং রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতা থেকে দূরে থাকা এক ব্যক্তি। তিনি ইউক্রেন-রাশিয়া ও ইউক্রেন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্তিচুক্তি আলোচনার প্রধান প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আলোচনার নেতৃত্বের দায়িত্ব তার কাঁধে ছিল।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়রমাকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি, তার পদত্যাগ এবং বাসভবনে অনুসন্ধান শুরু হওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। দুর্নীতি দমন সংস্থা জানিয়েছে, এই অনুসন্ধান দেশীয় অর্থনৈতিক চুক্তি এবং সরকারি প্রকল্পে সম্ভাব্য দুর্নীতি সংক্রান্ত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেনের শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য তীব্র চাপ প্রদান করছে।

   

ইয়রমাকের পদত্যাগ এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন ইউক্রেন প্রায় চার বছর ধরে চলা রাশিয়ার আক্রমণের পর শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চাপ বাড়ানো হচ্ছে দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। প্রধান আলোচনাকারীর পদত্যাগ আলোচনার গতিশীলতা এবং কৌশলগত অবস্থানকে প্রভাবিত করতে পারে।

ইয়রমাক ২০১৯ সাল থেকে জেলেনস্কির রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। তিনি আগে বিনোদন ও চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ করতেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে জেলেনস্কির সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য সহযোগী ছিলেন। যুদ্ধের সময় তার নেতৃত্বে দেশের নীতি এবং কূটনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা হতো। এমনকি তাকে “দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাসীন ব্যক্তি” হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

ইয়রমাকের পদত্যাগ কেবল রাজনৈতিক একটি ঘটনা নয়; এটি ইউক্রেনের সরকারে স্বচ্ছতা, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক আস্থা অর্জনের এক পরীক্ষা। পশ্চিমা অংশীদাররা নজর রাখছে যে, ইউক্রেন কেবল যুদ্ধ জয়েই সীমাবদ্ধ থাকছে না, বরং শাসন ব্যবস্থায় সততা ও নিয়ন্ত্রন বজায় রাখতে পারছে কি না।

 

পদত্যাগের প্রেক্ষাপটটি বোঝার জন্য কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ:

১. দুর্নীতি দমন সংস্থা বাসভবনে অনুসন্ধান চালিয়েছে। এটি সরকারি চুক্তি এবং প্রকল্পে সম্ভাব্য অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

২. আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে যে, ইউক্রেন যেন তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় রাখে।

৩. শান্তি আলোচনা চলাকালীন প্রধান আলোচনাকারীর পরিবর্তন আলোচনা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইয়রমাকের পদত্যাগ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই বড় প্রভাব ফেলবে। দেশীয় রাজনীতিতে এটি ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে পারে। পাশাপাশি, শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়ার নতুন নেতৃত্ব গঠন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আস্থা অর্জন করা এখন প্রাথমিক লক্ষ্য।

 

 

- Advertisement -
Suparna Parui
Suparna Paruihttps://kolkata24x7.in/author/suparna-parui
হাতেখড়ি চ্যানেলে। খবরের গন্ধ শনাক্ত করার কৌশল শেখা সেখান থেকেই। তারপর ৬ বছর ধরে বিনোদন রাজনীতির খবরের ব্যবচ্ছেদ করে চলেছি। খবর শুধু পেশা নয়, একমাত্র নেশাও বটে।কাজের পাশাপাশি সিনেমা দেখতে, গান শুনতে, বেড়াতে যেতে খুব ভালোলাগে। তাই সময় সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ি নতুন অ্যাডভেঞ্চারের উদ্দেশ্যে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular