পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থানের বিশ্বব্যাপী প্রচারে সংহতির বার্তা কংগ্রেসের

ভারত সরকার আগামী দিনে পাকিস্তান থেকে মদত প্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদের(congress) বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বিভিন্ন দেশে বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে । এই…

congress wants to hand on hand to bjp

ভারত সরকার আগামী দিনে পাকিস্তান থেকে মদত প্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদের(congress) বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বিভিন্ন দেশে বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে । এই উদ্যোগে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এবং বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। কংগ্রেস দল শুক্রবার নিশ্চিত করেছে যে তারা অবশ্যই এই প্রতিনিধি দলের অংশ হবে।

জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন (congress)

সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রতিনিধি দল নিয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও, কংগ্রেসের (congress) সাধারণ সম্পাদক (যোগাযোগ) জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এ বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

   

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা

এই উদ্যোগের পটভূমিতে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং তার জবাবে ভারতের ‘অপারেশন ‘সিঁদুর ’-এর ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যার মধ্যে বেশ কয়েকজন পর্যটক এবং শিশু ছিল।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন ‘সিঁদুর’ পরিচালনা করে, যেখানে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, এই হামলায় ১০০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

গতবছরের ভাগ্য ঝুলছে আদালতে, কলকাতা লিগের নয়া নিয়মে সিলমোহর দিল IFA

জয়রাম রমেশ এক্স-এ একটি পোস্টে জানিয়েছেন

কংগ্রেস(congress) নেতা জয়রাম রমেশ এক্স-এ একটি পোস্টে জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে দুটি সর্বদলীয় বৈঠকের সভাপতিত্ব করতে অস্বীকার করেছেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস যে বিশেষ সংসদীয় অধিবেশনের দাবি জানিয়ে আসছে, তা আহ্বান করতেও প্রধানমন্ত্রী সম্মত হননি।

এই অধিবেশনের মাধ্যমে আমরা সম্মিলিত ইচ্ছা প্রকাশ করতে এবং ১৯৯৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করতে চেয়েছিলাম।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দল কংগ্রেসকে ক্রমাগত অপমান করছে, যদিও কংগ্রেস (congress)ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানিয়েছে।

কর্মসূচির তাৎপর্য

এই প্রতিনিধি দলগুলি বিশ্বের প্রধান রাজধানীগুলিতে গিয়ে পহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষাপট এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবে। সূত্র জানায়, কেন্দ্র সরকার বিরোধী দলগুলির সমর্থন নিশ্চিত করতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (congress) সম্ভবত এই দলগুলির একটির নেতৃত্ব দেবেন। এছাড়া, গুলাম নবী আজাদ এবং আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মতো বিশিষ্ট সংসদ সদস্যরাও এই প্রতিনিধি দলে অংশ নিতে পারেন।

এই উদ্যোগের লক্ষ্য

এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের কাশ্মীর বিষয়ক বর্ণনার বিরুদ্ধে ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে শক্তিশালীভাবে উপস্থাপন করা এবং ভারতকে সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদের শিকার হিসেবে তুলে ধরা। এক্স-এ পোস্ট করা তথ্য অনুযায়ী, এই প্রতিনিধি দলগুলি পাহালগাম হামলার সঙ্গে সীমান্তের ওপারের জঙ্গি ঘাঁটির যোগসূত্র এবং অপারেশন সিঁদুর র বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবহিত করবে। এই প্রচেষ্টা ভারতের প্রথমবারের মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কূটনৈতিক দূত হিসেবে পাঠানোর উদাহরণ হবে।

পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছিল। ভারত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করা এবং আটারি সীমান্তে পণ্য পরিবহন স্থগিত করা। এছাড়া, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্দার কাছে পাকিস্তানে তহবিল কমানোর দাবি জানিয়েছেন, যাতে সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন বন্ধ করা যায়।

কংগ্রেসের অবস্থান

কংগ্রেস (congress) জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এই প্রতিনিধি দলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন (congress), কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই প্রতিনিধি দলে দলের প্রতিনিধি মনোনয়ন করবেন। তবে, তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, পহেলগাঁও হামলার পর সরকার জঙ্গিদের এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে রাজনৈতিক আক্রমণ চালাচ্ছে।

এই প্রতিনিধি দলগুলির মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পহেলগাঁও হামলার প্রমাণ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরবে। এই উদ্যোগ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠক এবং বিশেষ সংসদীয় অধিবেশন আহ্বানে অনীহা নিয়ে বিরোধী দলগুলির মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের এই উদ্যোগ কীভাবে ফলপ্রসূ হয়, তা আগামী দিনগুলিতে স্পষ্ট হবে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের এই পদক্ষেপ দেশের অভ্যন্তরীণ ঐক্য এবং আন্তর্জাতিক সংহতির একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করছে।