কেরালায় কংগ্রেসের স্বাক্ষর অভিযানে যোগ দিলেন ভেনুগোপাল

কেরালার আলাপ্পুঝায় রবিবার কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল যোগ দিলেন দলের ঘোষিত দেশব্যাপী আন্দোলন ‘ভোট চুরি, গদ্দি ছাড়’–এ। এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের ভোটার তালিকা…

congress-signature-campaign-kerala-venugopal-2025

কেরালার আলাপ্পুঝায় রবিবার কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল যোগ দিলেন দলের ঘোষিত দেশব্যাপী আন্দোলন ‘ভোট চুরি, গদ্দি ছাড়’–এ। এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের ভোটার তালিকা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, কারচুপি এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা। কংগ্রেস দাবি করেছে, এই আন্দোলনের মাধ্যমে তারা দেশজুড়ে পাঁচ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করবে।

Advertisements

ভেনুগোপাল এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) পোস্ট করে বলেন, “বৃহৎ আকারের ভোট চুরি এবং ভোটার তালিকার কারসাজি আমাদের প্রজাতন্ত্রের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। ভোট চুরি কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়, এটি সংবিধানের ওপর বৃহত্তর আক্রমণের অংশ। এর ফলে অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে, সামাজিক অবিচার বেড়েছে এবং দেশের অখণ্ডতার প্রতি হুমকি তৈরি হয়েছে।”

   

তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের দেশব্যাপী ‘ভোট চুরি, গদ্দি ছাড়’ স্বাক্ষর অভিযান ও ঘরে-ঘরে প্রচারের অংশ হিসেবে আজ আমি আলাপ্পুঝার কাইথাভানা ওয়ার্ডে যোগ দিয়েছি। দেশজুড়ে কংগ্রেস এই প্রকাশ্য গণতন্ত্র-বিরোধী আক্রমণের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করবে।”

কংগ্রেস নেতা সকল নাগরিককে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এটি দ্রুত একটি গণআন্দোলনে রূপ নিচ্ছে। আমরা প্রতিটি গণতন্ত্রপ্রেমী নাগরিককে আহ্বান জানাচ্ছি সংবিধান রক্ষার এই সংগ্রামে অংশ নিতে, ভারতের আত্মাকে রক্ষার লড়াইয়ে সামিল হতে।”

এদিকে, একদিন আগে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও ভোট চুরির অভিযোগ পুনরায় উত্থাপন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি নিশানা করেন। তিনি দাবি করেন, বিহারে নীতীশ কুমার সরকারের পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। রমেশ মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, যিনি এতদিন বিরোধী দলগুলিকে ‘রেভড়ি’ সংস্কৃতি প্রচারের অভিযোগে সমালোচনা করেছেন, তিনিই এখন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটারদের ‘রেভড়ি’ বিতরণ শুরু করেছেন।

রমেশ অভিযোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী কর্ণাটক সরকারের ‘গৃহলক্ষ্মী’ প্রকল্প নিয়ে লাগাতার সমালোচনা করেছিলেন, যেখানে ১.৩ কোটি মহিলাকে মাসে ২,০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। অথচ এখন তিনি নিজেই বিহারে একই ধরনের ভাতা ঘোষণা করছেন। এটি নিছক ভণ্ডামি নয়, এটি জনগণকে বিভ্রান্ত করার রাজনীতি।”

কংগ্রেসের এই ধারাবাহিক প্রচার অভিযানের লক্ষ্য স্পষ্ট—তারা বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কারচুপির অভিযোগ তুলে সাধারণ মানুষকে সংবিধান রক্ষার লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক মাস ধরে দেশব্যাপী এই প্রচার চলবে এবং ঘরে-ঘরে পৌঁছে নাগরিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করবে কংগ্রেস কর্মীরা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের এই স্বাক্ষর অভিযান একদিকে বিজেপি সরকারের ওপর চাপ তৈরি করার কৌশল, অন্যদিকে বিরোধী শিবিরে নেতৃত্ব প্রদর্শনের একটি পদক্ষেপ। বিশেষত ২০২৫ সালের নির্বাচনের আগে এই ধরনের আন্দোলন কংগ্রেসকে সংগঠনগতভাবে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জনসমর্থন বাড়াতে সহায়ক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।


❓ FAQs

Q1. কেসি ভেনুগোপাল কোন অভিযানে যোগ দিয়েছেন?
👉 তিনি কংগ্রেসের ঘোষিত দেশব্যাপী ‘ভোট চুরি, গদ্দি ছাড়’ স্বাক্ষর অভিযানে যোগ দেন।

Q2. কংগ্রেসের এই আন্দোলনের লক্ষ্য কী?
👉 দেশের ভোটার তালিকা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও কারচুপির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা এবং গণতন্ত্র রক্ষায় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা।

Q3. কংগ্রেস কত সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে?
👉 দলটির লক্ষ্য অন্তত পাঁচ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ।

Q4. কেসি ভেনুগোপাল কী বলেছেন?
👉 তিনি বলেছেন, ভোট চুরি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি সংবিধানের ওপর আক্রমণ। এর ফলে অর্থনীতি দুর্বল হয়েছে এবং সামাজিক অবিচার বেড়েছে।

Q5. জয়রাম রমেশ কী অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে?
👉 তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী কর্ণাটকের গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পকে সমালোচনা করলেও বিহারে একই ধরনের ভাতা ঘোষণা করেছেন, যা নিছক ভণ্ডামি।

Q6. রাজনৈতিক মহল কংগ্রেসের এই প্রচার অভিযানে কীভাবে দেখছে?
👉 বিশ্লেষকদের মতে, এটি একদিকে বিজেপির ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল, অন্যদিকে বিরোধী শিবিরে কংগ্রেসের নেতৃত্ব প্রদর্শনের প্রচেষ্টা।


🔑 KC Venugopal Congress campaign, Vote Chori Gaddi Chhod movement, Congress vs BJP 2025, Congress Kerala campaign, Jairam Ramesh Modi criticism