বিহারের ধাক্কা ভুলে এই রাজ্যকে পাখির চোখ হাত শিবিরের

congress-prepares-for-tamil-nadu-2026-assembly-elections-after-bihar-setback

বিহারে আসন সমঝোতার জট এবং নির্বাচনী ভরাডুবির ধাক্কা কংগ্রেসকে (Congress) নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই দক্ষিণ ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য তামিলনাড়ুর ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করল দল। শনিবার তামিলনাড়ু কংগ্রেস কমিটির সভাপতি কে সেলভাপেরুনথাগাই জানিয়ে দেন, কংগ্রেস সভাপতির নির্দেশে গঠিত হয়েছে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি। তাদের প্রধান কাজ ক্ষমতাসীন ডিএমকের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনাকে দ্রুত ও সুসংহত করা।

Advertisements

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের অন্যতম বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে জোটসঙ্গীদের সঙ্গে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আসন সমঝোতা চূড়ান্ত না হওয়ার বিষয়টি। এনডিএ সেই সুযোগকে কৌশলে কাজে লাগায়। ফলে কংগ্রেস এবার তামিলনাড়ুতে একই ভুল পুনরাবৃত্তি না করার পক্ষেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

   

জোট আলোচনার কেন্দ্রে নতুন কমিটি

টিএনসিসির শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য অনুযায়ী, কমিটির নেতৃত্বে থাকছেন তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির দায়িত্বপ্রাপ্ত গিরিশ। সঙ্গে থাকবেন লভাপেরুনথাগাই এবং সংসদীয় দলের নেতা এস রাজেশকুমার। ২০২৬ আগে ডিএমকে নেতৃত্বের সঙ্গে পর্যায়ক্রমিক বৈঠক করে আসন ভাগাভাগির কাঠামো তৈরি করবে।

চিদাম্বরমের প্রশংসা—জোটে স্থিতিশীলতার বার্তা

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা পি চিদাম্বরম এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এতে আইএনডিআইএ জোটের ঐক্য আরও শক্তিশালী হবে। তাঁর দাবি, নতুন কমিটির ঘোষণা জোট রাজনীতিকে কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়ানো বহু প্রশ্নের অবসান ঘটিয়েছে।

Advertisements

গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক অন্দরে জল্পনা চলছিল কংগ্রেস কি ডিএমকের সঙ্গ ছেড়ে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বিজয়ের তামিলাগা ভেত্রি কাঝাগাম (টিভিকে) সঙ্গে হাত মিলাতে পারে? এই সম্ভাবনাই আগামী নির্বাচনে দুই আগের জোটসঙ্গীর মুখোমুখি লড়াইয়ের রাস্তাও খুলে দিতে পারত। কিন্তু চিদাম্বরমের দৃঢ় বক্তব্যে পরিষ্কার, ২০২৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ডিএমকের সঙ্গেই লড়বে। টিভিকে জোট গঠনের গুঞ্জনের কোনও ভিত্তি নেই।

বিহারের ব্যর্থতা তামিলনাড়ুতে কংগ্রেসকে আগেভাগেই তৎপর করেছে। ডিএমকে-কংগ্রেস জোটকে আঁটসাঁট করে ভোটের ময়দানে নামতে চাইছে দল। চিদাম্বরমের মন্তব্যে জোট রাজনীতিতে আপাতত স্বস্তির সুর, এবার নজর আসন ভাগাভাগি এবং ২০২৬ লক্ষ্যপূরণে সংগঠনগত প্রস্তুতিতে।