গ্রেট নিকোবর প্রজেক্টে ‘না’, পরিবেশগত কারণে আন্দামানে নৌসেনা পরিকাঠামোয় আপত্তি কংগ্রেসের

চিনের কথায় মাথায় রেখে আন্দামান ও নিকোবরে বিরাট নৌসেনা ঘাঁটি তৈরি করতে চায় ভারত। যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে একটি শহর। সেই জন্যই বঙ্গোপসাগরে ওই…

Congress oppose great nicobar project initiated by centre for ecological crisis

চিনের কথায় মাথায় রেখে আন্দামান ও নিকোবরে বিরাট নৌসেনা ঘাঁটি তৈরি করতে চায় ভারত। যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে একটি শহর। সেই জন্যই বঙ্গোপসাগরে ওই এলাকায় ‘গ্রেট নিকোবর আইল্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাক্চর প্রজেক্ট’ (Great Nicobar island project) গ্রহণ করে কেন্দ্র। আর এই প্রকল্প হলে ওই অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে ও স্থানীয় জনজাতি ক্ষতির সম্মূখীন হবে বলে দাবি করল কংগ্রেস। 

হরিয়ানায় নির্বাচনী উত্তেজনা, বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে চরম প্রতিযোগিতা

   

সোমবার কংগ্রেস নেতা প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল অরুন প্রকাশের একটি মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন এই প্রবীন কংগ্রেস নেতা। কিছুদিন আগে প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন যে, ”আন্দামানে দ্বীপপুঞ্জে পরিবেশের ক্ষতি না করেও নৌসেনার ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।” আর সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই এদিন কংগ্রেস নেতা বলেন, “প্রাক্তন নৌসেনার এমন মন্তব্য অত্যন্ত বিতর্কিত। দুটো বিষয় একসঙ্গে সম্ভব নয়। বর্তমান পরিকল্পনায় দ্বীপরাষ্ট্রে সামরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেলে ওই অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিপর্যস্ত হবে।” এই বিষয়ে বিশিষ্ট নৃতত্ববিদ অ্যান্টিস জাস্টিনের অভিমত টেনে তিনি বলেন, এই দ্বীপপুঞ্জে বড়সড় পরিকাঠামো নির্মাণ প্রাকৃতিক ও জনজাতির বিপর্যয়ের কারণ হবে। 

তিরুপতি লাড্ডু বিতর্কে সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে চন্দ্রবাবু

পাশাপাশি আন্দামান পরিকাঠামোয় নির্মাণের আগেই এই বিষয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালত বা গ্রীন ট্রাইবুন্যালের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া উচিত বলে দাবি করে। সেই সঙ্গে ওই দ্বীপপুঞ্জে একটি ‘হাইপাওয়ার কমিটি’ পাঠানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক ও নীতি আয়োগের কাছেও এই ইস্যুতে ১০ পাতার চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।

প্রিয়াঙ্ক খাড়গের মন্তব্যে আসামে সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পে বিতর্ক!

যদিও চিনের থেকে সম্ভাব্য বিপদের কথা মাথায় রেখেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সামরিক কাঠামো গড়তে চাইছে নয়াদিল্লি। কারণ বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে চিনের গতিবিধি মাথাব্যাথা বাড়িয়েছে ভারতের। তবে আন্দামানে সেনা কাঠামো মজবুত করলে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের পাশাপাশি থাইল্যান্ড উপসাগরীয় এলাকায় মলাক্কা প্রণালীতে চিনের গতিবিধির ওপর নজর বাড়াতে পারবে ভারত। কারণ আরব ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা চিনের বিভিন্ন জাহাজ ওই নৌ পথেই চলাচল করে। সুতরাং ওই এলাকায় নজর বাড়ালে চিনের বিরুদ্ধে কৌশলগত সুবিধা পাবে ভারত। তবে কংগ্রেসের আপত্তিতে নিরাপত্তা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র কী করে সেটাই দেখার।