পাঞ্জাবের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সন্তোখ সিং চৌধুরী (santok singh chaudhary) মারা গেছেন। শনিবার ভারত জোড় যাত্রায় (Bharat Joro Yatra) অংশ নিয়েছিলেন চৌধুরী। এ সময় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভির্ক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। চৌধুরীর মৃত্যুর পর ভারত জোড় যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সহ সমস্ত বড় নেতা ভির্ক হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
বলা হচ্ছে, যাত্রার সময় হঠাৎ আতঙ্কে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন চৌধুরী। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফিল্লার ভির্ক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কংগ্রেস নেতা রানা গুরজিৎ সিং এবং বিজয় ইন্দর সিংলা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে লিখেছেন, ‘সন্তোখ সিং চৌধুরীর অকাল মৃত্যুর খবর শুনে আমি শোকাহত। তার চলে যাওয়া দল ও সংগঠনের জন্য বড় ক্ষতি। শোকের এই মুহূর্তে তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমর্থকদের প্রতি সমবেদনা জানাই। প্রয়াত আত্মা শান্তিতে থাকুক।’ একই সঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান টুইট করেছেন যে ‘জলান্ধরের কংগ্রেস সাংসদ সন্তোখ সিং চৌধুরীর অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। ঈশ্বর তাঁর আত্মাকে শান্তি দিন।পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
সন্তোখ সিং চৌধুরীকে জানুন-
সন্তোখ সিং চৌধুরী পাঞ্জাবের প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং জলন্ধর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। চৌধুরী সন্তোখ সিং ২০১৪ এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন। সন্তোখ সিং চৌধুরী ছিলেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্যতম প্রবীণ নেতা। ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত, তিনি পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০০২ সালে, তিনি কংগ্রেসের টিকিটে ফিল্লাউর বিধানসভা আসনে জয়ী হয়ে পাঞ্জাব বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পাঞ্জাব সরকারের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীও ছিলেন।
এর পরে, সন্তোখ সিং চৌধুরী ২০১৪ সালের মে মাসে ১৬ তম লোকসভায় নির্বাচিত হন। এর সাথে, তিনি আগস্ট ২০১৪ থেকে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি কল্যাণ কমিটির সদস্য ছিলেন। সদস্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, ২০১৪ সাল থেকে নগর উন্নয়ন, আবাসন এবং নগর দারিদ্র্যদূরীরণ মন্ত্রক।