Congress Leader Sparks Controversy With ‘Do Militants Have So Much Time?’
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে (congress leader)। এই পরিস্থিতিতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (congress leader) পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের বিরোধিতা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পক্ষে মত প্রকাশ করার পর, মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের বর্ষীয়ান বিধায়ক বিজয় ওয়াডেট্টিওয়ারের একটি বিতর্কিত মন্তব্য রাজনৈতিক তরঙ্গ সৃষ্টি করেছে।
ওয়াডেট্টিওয়ার প্রশ্ন (congress leader)
সোমবার ওয়াডেট্টিওয়ার (congress leader) হামলার শিকার ব্যক্তিদের সাক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, জঙ্গিরা হত্যার আগে ধর্ম জিজ্ঞাসা করেছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা সত্যি কিনা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, “সরকারের উচিত পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার দায়িত্ব নেওয়া।
তারা বলছে, জঙ্গিরা ধর্ম জিজ্ঞাসা করে মানুষকে হত্যা করেছে। জঙ্গিদের এত সময় থাকে কি? কেউ কেউ বলছেন, এটা ঘটেনি। জঙ্গিদের কোনো জাত বা ধর্ম নেই। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এটাই দেশের মনোভাব।”
ওয়াডেট্টিওয়ার আরও বলেন
ওয়াডেট্টিওয়ার আরও বলেন (congress leader), সিদ্দারামাইয়ার “যুদ্ধের প্রয়োজন নেই” মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, যদি সরকার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়, তবে তা করা উচিত। তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “এসব জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরানোর চেষ্টা। সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের প্রয়োজন নেই। কিন্তু সরকার যদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকে, তবে করুক। সরকার বলছে, পাকিস্তানের জল বন্ধ করে দেবে। এটা করতে ২০ বছর লাগবে।”
এদিকে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া পহেলগাঁও হামলাকে গোয়েন্দা ব্যর্থতার ফল বলে উল্লেখ করে কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় নিরাপত্তা ত্রুটি রয়েছে। আমরা যুদ্ধের পক্ষে নই। কাশ্মীর অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত কাশ্মীরে শান্তি নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাড়ানো।”
সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্য
তবে, সিদ্দারামাইয়ার এই মন্তব্য পাকিস্তানি গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় বিজেপি তীব্র সমালোচনা করেছে। বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের উচিত সিদ্দারামাইয়া এবং টিম্মাপুরকে বহিষ্কার করা। কিন্তু তারা তা করবে না, কারণ এটাই কংগ্রেসের আসল চেহারা। রাহুল গান্ধী সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়েছিলেন। আজ রাহুল গান্ধী, সিদ্দারামাইয়া এবং টিম্মাপুরের বক্তব্য পাকিস্তানি টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে। পাকিস্তান তাদের সমর্থক মনে করে।”
পহেলগাঁও হামলা, যাতে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীর উপত্যকার সবচেয়ে মারাত্মক হামলাগুলির মধ্যে একটি। পুলওয়ামায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন।
হাজার হাজার শিক্ষকের ভাগ্য নির্ধারণে প্রস্তুত হাইকোর্ট, শুনানি ৭ মে
ভারতের পদক্ষেপ
হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদের সমর্থনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস নেতারা পাকিস্তানকে “ক্লিন চিট” দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। তিনি বলেন, “ওয়াডেট্টিওয়ার বলছেন, সরকার দায়ী, পাকিস্তান নয়। ধর্মের ভিত্তিতে হত্যার কোনো প্রমাণ নেই।”
ওয়াডেট্টিওয়ারের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা
ওয়াডেট্টিওয়ারের (congress leader) মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বিজেপি মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারী বলেন, “কংগ্রেস নেতারা শিকার ব্যক্তিদের বক্তব্যকে অপমান করছে। সবাই জানে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী মাস্টারমাইন্ডরা এই হামলা চালিয়েছে।” এক্স-এ পোস্টে দেখা গেছে, অনেকে ওয়াডেট্টিওয়ারের মন্তব্যকে “শিকার পরিবারের অপমান” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একটি পোস্টে বলা হয়েছে, “ওয়াডেট্টিওয়ার পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের বাঁচিয়ে শিকার পরিবারের এনআইএ সাক্ষ্যকে অস্বীকার করছেন।”
সিদ্দারামাইয়া পরে তার বক্তব্য স্পষ্ট করে বলেন, “যুদ্ধ একটি দেশের শেষ অবলম্বন হওয়া উচিত। আমি কখনো বলিনি যুদ্ধ হবে না। পহেলগাঁও হামলায় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ব্যর্থতা স্পষ্ট।” তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের পক্ষে কথা বলেন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ ঐক্যের উপর জোর দেন।
তবে, বিজেপি নেতা আর অশোক তাকে “পাকিস্তান রত্ন” বলে কটাক্ষ করেন। এই বিতর্ক ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পহেলগাঁও হামলা দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, এবং কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে বাকযুদ্ধ তীব্রতর হচ্ছে।