চেন্নাই: গণধর্ষণের (Gangrape) শিকার ২০ বছরের কলেজছাত্রী। জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল ৪.৩০ নাগাদ কলেজের হোস্টেল থেকে বেরিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ওই কলেজছাত্রী। রাতের খাবার খেয়ে ফেরার সময় ১১ টা নাগাদ যুগলকে ঘিরে ধরে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তাঁরা যুগলদের গাড়িরতে পাথর মেরে কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়।
এরপর নির্যাতিতার প্রেমিককে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে বের করে লাঠি, পাথর দিয়ে বেধড়ক মারধোর করা হয়। এরপর তরুণীকে অপহরণ করে কোয়েম্বাটুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Coimbatore International Airport) থেকে ১ কিলোমিটার দূরে একটি মোটরঘরে গণধর্ষণ (Gangrape) করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার প্রেমিক আটকাতে গেলে তাঁকে ছুরি দেখয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। কাউকে কিছু জানালে খুনের হুমকি দিয়ে সোমবার ভোর সাড়ে ৪ টে নাগাদ তরুণীকে ফেলে পালায় ধর্ষকরা।
অন্যদিকে, প্রহারের জেরে অজ্ঞান হয়ে পড়া প্রেমিক রাত ১১.২৫ নাগাদ জ্ঞান ফিরতেই তরুণীর খোঁজে বিমানবন্দরের রাস্তার দিকে ভাঙা গাড়ি নিয়েই এগোতে থাকেন। তরুণীকে খুঁজতে পথচারিদের সাহায্য চান তিনি। লোকজন পুলিশে খবর দেয় এবং তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একাধিক পুলিশ দল এলাকায় তল্লাশি শুরু করার পর।
নির্যাতিতা ধর্ষকদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে কোনোক্রমে কাছের একটি আবাসিক এলাকায় পৌঁছে ফোনে পুলিশকে ফোন করেন। শীঘ্রই তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার জন্য সাতটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে বলে পুলিশ (Police) জানিয়েছে।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কম আলো এবং এলাকায় নজরদারি ক্যামেরার অনুপস্থিতি তদন্তকে আরও জটিল করে তুলেছে। কারণ বিমানবন্দরের কাছে এই স্থানটি মূলত জনশূন্য এবং রাতে খুব কম মানুষ যাতায়াত করে।
“আমরা সমস্ত সম্ভাব্য দিক, উপলব্ধ প্রযুক্তিগত তথ্য এবং এলাকা থেকে রেকর্ড করা সমস্ত গতিবিধি বিশ্লেষণ করছি,” কর্মকর্তা বলেন। পুলিশের ধারণা, সন্দেহভাজনরা সন্ধ্যার আগে কোভিলপালায়ম থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি চুরি করে বিমানবন্দর করিডোরের দিকে যাওয়ার সময় গাড়ির ভেতরে যুগলকে দেখতে পায়।


