বিহারের রাজনৈতিক মহলে এক নতুন বিতর্ক (Chirag Paswan)। পাটনা হাইকোর্ট কংগ্রেসকে নির্দেশ দিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার স্বর্গীয় মা হীরাবেন মোদীর এআই-জেনারেটেড ভিডিওটি সকল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। এই ভিডিওটি বিহার কংগ্রেস ইউনিট ১০ সেপ্টেম্বর পোস্ট করেছিল।
এই ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীকে তার মা স্বপ্নে দেখা দিয়ে তার রাজনৈতিক নীতি, বিশেষ করে ডিমোনিটাইজেশন এবং বিহারে ভোটের খেলা নিয়ে সমালোচনা করছেন। এই নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিনিস্টার চিরাগ পাসওয়ান তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যার মা আর এই দুনিয়ায় নেই, তার সম্পর্কে এমন ভিডিও বানানো কীভাবে যুক্তিযুক্ত ?
পাসওয়ান আরও বলেছেন কারো অনুভূতিকে আঘাত দিতে তারা কতদূর যেতে চায় ?” এছাড়াও, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের ‘বিহার অধিকার যাত্রা’ নিয়ে পাসওয়ান কটাক্ষ করে বলেছেন, “তিনি তো রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করার মতো পর্যায়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু তার বিনিময়ে তাকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। তাই এটা তার জন্য স্বাভাবিক যে তাতে আঘাত পাবেন… আজ তিনি যুবকদের জন্য চাকরির কথা বলছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করুন, যুবকদেরকে রাজ্য থেকে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য করেছিল কারা ?”
পটনা হাইকোর্টের অ্যাকটিং চিফ জাস্টিস পি.বি. বাইজান্ত্রি এবং জাস্টিস আলোক কুমার সিনহার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। অ্যাডভোকেট বিবেকানন্দ সিংহের পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (পিআইএল)-এর ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পিটিশনারের দাবি ছিল যে, ভিডিওটি “ঘৃণ্য, লজ্জাজনক এবং অপমানজনক”, কারণ এতে প্রধানমন্ত্রীর স্বর্গীয় মায়ের মর্যাদা লঙ্ঘিত হয়েছে।
ভিডিওটিতে প্রধানমন্ত্রীকে দেখানো হয়েছে যে, তিনি ঘুমিয়ে পড়ার পর স্বপ্নে তার মা আসেন এবং বলেন, “প্রথমে ডিমোনিটাইজেশনে লম্বা লাইনে দাঁড় করিয়েছ, আমার পা ধোয়ার রিল বানিয়েছ। এখন বিহারে আমার নামে রাজনীতি করছ, আমার অপমানের ব্যানার ছাপাচ্ছ। আবার বিহারে ড্রামা করছ। কত নিচে নামবে?”
ভারতীয় শিবিরে চিন্তার ভাঁজ! ছিটকে গেলেন তারকা ব্যাটার
এই ভিডিও পিতৃপক্ষের সময় পোস্ট করা হয়েছে, যখন পিএম মোদি তার মায়ের শ্রাদ্ধকর্ম করছিলেন। কোর্ট ফেসবুক, টুইটার (এক্স), ইউটিউবসহ সকল ইন্টারমিডিয়ারিকে ভিডিওর প্রচার বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে এবং ইউনিয়ন গভর্নমেন্ট, বিহার গভর্নমেন্ট, বিহার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি, নির্বাচন কমিশন এবং রাহুল গান্ধীকে নোটিস জারি করেছে।