Fujian Supercarrier : সমুদ্রে চিনের বাড়তে থাকা দৃঢ়তা একটি নতুন লাইন এঁকেছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চিন তাদের প্রথম সুপার ক্যারিয়ার সমুদ্রে উৎক্ষেপণ করেছে। এর নাম ফুজিয়ান (Fujian), যা চিনের একটি প্রদেশেরও নাম। ইউরেশিয়ান টাইমস লিখেছে যে ফুজিয়ানকে চ্যাংজিং দ্বীপে অবতরণ করা হয়। এটিকে আমেরিকার জেরাল্ড আর ফোর্ডের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফুজিয়ান সম্পূর্ণরূপে চিনে তৈরি করা হয়েছে। আমেরিকা ছাড়া বিশ্বের আর কোনও দেশে এত উন্নত সুপার ক্যারিয়ার নেই।
ফুজিয়ান সুপারক্যারিয়ার কী?
সহজ ভাষায় যদি বোঝা যায়, এটি একটি যুদ্ধজাহাজ। ফুজিয়ানের মোট ক্ষমতা 80 হাজার টন এবং এটি বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ। এটি 2022 সালে চালু হয়েছিল। ফুজিয়ান চিনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী। এতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেম লাগানো হয়েছে, যা চিনা নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াবে।
এই এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার থেকে প্রচুর সংখ্যক যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে বলে জানা গেছে। এই জন্য এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে তিনটি রানওয়ে করা হয়েছে। এতে স্থাপিত রাডার সিস্টেম দূরপাল্লার মিসাইল ট্র্যাক করতে পারে বলে দাবি করা হয়।
খবরে বলা হয়েছে, চিন এই সুপার ক্যারিয়ারে তাদের J15B যুদ্ধবিমান মোতায়েন করবে। J35 নেক্সট জেনারেল ফাইটারও এতে মোতায়েন করা হবে। খবরে বলা হয়েছে, সুপারক্যারিয়ারটি সমুদ্রে নামানোর আগে ঘটনাস্থলে আতশবাজি ফেলা হয়।
Chinese Type 003 ‘Fujian’ Aircraft Carrier has started its sea trials. The 316m long super carrier is to host stealth fighter jets on it, expected to enter service in 2025. pic.twitter.com/xLI80mRFlN
— Conflict Watch PSF (@AmRaadPSF) April 29, 2024
এর আগে ২৩ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কথা থাকলেও প্রত্যাশার কিছু দিন পরেই রণতরীটি বের করা হয়েছে। এটি আমেরিকার জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তাইওয়ান ইস্যুতে আমেরিকা ও চিন মুখোমুখি। এমন পরিস্থিতিতে এই সুপার ক্যারিয়ার থেকে বেরিয়ে আসা আমেরিকার উত্তেজনা বাড়াতে পারে।