বেজিং, ২৫ অক্টোবর: অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চিনের লুয়ানজে বিমান ঘাঁটিতে (China Lhunze Airbase) নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। স্যাটেলাইট চিত্রগুলি দেখায় যে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ৩৬টি নতুন শক্ত আশ্রয়কেন্দ্র (aircraft shelters) তৈরি করা হয়েছে। যেগুলো যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারের জন্য তৈরি করা হচ্ছে।
এই পদক্ষেপটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (Line of Actual Control/LAC) কাছে বেইজিংয়ের বায়ু শক্তি বৃদ্ধির কৌশলকে প্রতিফলিত করে। এটি চিনের পূর্ব অঞ্চলে স্থাপনার ক্ষমতা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া শক্তি বৃদ্ধি করবে। এই বিমানঘাঁটি এখন ভারতীয় সীমান্তের কাছে তার সামরিক শক্তি আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে।
নিরাপত্তা সংস্থাগুলি কড়া নজর রাখছে
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এই নির্মাণকাজটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, কারণ লুঞ্জে বিমানঘাঁটির সরাসরি লক্ষ্য তাওয়াং এবং ভারতের অগ্রবর্তী পোস্টগুলিতে। তবে, এই উন্নয়ন এমন এক সময়ে ঘটছে যখন ভারত ও চিনের সীমান্তে উত্তেজনা কম এবং সামরিক মোতায়েনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
গালওয়ান উপত্যকা যুদ্ধের পর সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়
গালওয়ান উপত্যকা যুদ্ধের সময় ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটে। ১৫ জুন, ২০২০ তারিখে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের কারণে গালওয়ান উপত্যকায় এই যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধের সময় উভয় দেশই হতাহত এবং সম্পত্তির ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই সংঘর্ষে অনেক ভারতীয় ও চিনা সৈন্য শহিদ হন। ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের পর এই সংঘর্ষকে সবচেয়ে মারাত্মক বলে মনে করা হয়।
টিংরি, লুঞ্জে এবং বুরাং-এর মতো বিমানঘাঁটিগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছে প্রায় ২৫-১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই বিমানঘাঁটিগুলি অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড এবং লাদাখে ভারতীয় অবস্থানগুলির উপর নজরদারি এবং কভারেজ প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।


