ভারত সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেই ফের কূটনৈতিক সাফল্যের বার্তা। লাদাখ সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার চারটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে চিন। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। এবার বিদেশমন্ত্রীর সেই দাবিকেই মান্যতা দিল বেজিং। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছেন, রাশিয়ায় ভারত ও চিনা কর্তৃপক্ষের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে পদক্ষেপ নেবে।
শুভেন্দু আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করছে, তোপ জুনিয়ার ডাক্তারদের
মাও আরও বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর সেন্ট পিটার্সবার্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে আলোচনা করেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। সেই আলোচনায় দুই দেশই পারস্পরিক সমঝোতা বজায় রেখে চলার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এবং ন্যূনতম বোঝাপড়া কায়েম রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্ত ইস্যু নিয়েও কথা হয় দুপক্ষের মধ্যে।
বাম আমলেও নিয়োগ দুর্নীতি, প্যানেল জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক অতীতে চিন-ভারত সীমান্ত এলাকার চারটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়ে দুই দেশই বাস্তবিক পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে। সেই হিসেবে এখন চিন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি সুস্থিতিকর এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তাঁর মন্তব্য। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন যে, দু দেশের ৭৫ শতাংশ সীমান্ত দখলের সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।
মানুষের অ্যাম্বুলেন্সে তৃণমূল নেতার কুকুর, পেল হাইফাই চিকিৎসা!
জেনেভাতে একটি অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে গালোয়ান সংঘাতের জেরে চিনের সঙ্গে বিরোধ ব্যাপক আকার ধারণ করে। যার প্রভাব পড়ে বানিজ্য থেকে অর্থনীতি-নিরাপত্তা বিভিন্নক্ষেত্রে। তবে দু-দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সমঝোতা ‘ইতিবাচক’ হওয়ায় সীমান্ত সমস্যা যে চিরস্থায়ী সমাধান হয়েছে, এমনটা মনে করছেন না কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।