News Desk: চিনের (Chania) সঙ্গে যে সমস্ত দেশের সীমান্ত রয়েছে তারা যথেষ্টই বিপদের মধ্যে রয়েছে। ভারতের (India) সঙ্গে ইতিমধ্যেই সীমান্ত যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে বেজিং। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন আমেরিকার রিপাবলিকান সেনেটর (American senator) জন কারনাইন (join Karnain)। শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন, পড়শি দেশগুলির জন্য বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে এই কমিউনিস্ট দেশটি।
সম্প্রতি মার্কিন সেনেটর জন কারনাইনের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল ভারতে এসেছিল। এই প্রতিনিধি দলটি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Marendra Modi) বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের (Ajit Doval) সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। সীমান্ত সমস্যা ছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আধিপত্য, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মতো একাধিক বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয় তাদের।
![John Cornyn](https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2021/11/John-Cornyn.jpg)
সূত্রের খবর সেই আলোচনাতে উঠে আসে লাদাখে চিনা আগ্রাসনের বিষয়টি। সেখানেই মার্কিন প্রতিনিধিরা জানান, প্রতিবেশি দেশগুলির কাছে চিন ক্রমশই বিপদ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে যে সমস্ত দেশের সঙ্গে চিনের সীমান্ত রয়েছে তাদের কাছে চিন বড় মাপের বিপদ। এছাড়া চিন যেভাবে তিব্বত, তাইওয়ানকে চোখ রাঙিয়ে চলেছে সে বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
ভারতের পাশাপাশি এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে সফর করেন মার্কিন প্রতিনিধি দলটি। সফর শেষ করে দেশ ফিরে দক্ষিণ এশিয়ার চলতি আঞ্চলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সেনেটে বক্তব্য রাখছিলেন কারনাইন। সেখানেই তিনি চিন সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেন। আমেরিকার সঙ্গেও চিনের সম্পর্কটা খুব মধুর নয়। দক্ষিণ চিন সাগর ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিটনের রীতিমত ঠান্ডা লড়াই চলছে। পূর্বতন প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় এই বিরোধ তুঙ্গে পৌঁছেছিল। করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য ট্রাম্প সরাসরি চিনকে দায়ী করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুন লাদাখের (ladakh) গালওয়ানে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতীয় সীমান্তের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল চিনের সেনাবাহিনী। ভারতীয় জাওয়ানরা বাধা দিলে গালওয়ানে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। চিনের চার সেনাও মারা যায় বলে খবর। যদিও লালফৌজের আরও অনেকেই প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে খবর। এরপর নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে একাধিকবার আলোচনায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে সীমান্তে উত্তেজনা এখনও পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি।