News Desk: গোপন সূত্রের ভিত্তিতে মণিপুরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার দিনেই ১৩.১১.২১ তারিখে kolkata24x7.in প্রকাশ করেছিল প্রতিবেশি মায়ানমারের ঘাঁটিতে ভারত বিরোধী জঙ্গি কর্মতৎপরতার সংবাদ।গোয়েন্দা রিপোর্টে এই একই তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে চিন ও মায়ানমারের মাটি থেকেই জঙ্গি প্রশিক্ষণের কাজ চলেছে।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির হামলায় বারবার উঠে এসেছে চিনের মদতে মায়ানমারের কাচিন ও চিন প্রদেশে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। গত ১৩ নভেম্বর হামলার পরেই এই দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
পড়ুন: Manipur: সেনা কনভয়ে হামলায় বিশেষ প্রশিক্ষণ হয় উত্তর মায়ানমারে
মায়ানমার সীমান্তে মণিপুরের চূড়াচন্দ্রপুরে অসম রাইফেলসের কনভয়ের উপর জঙ্গি হামলায় এক কর্নেল-সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে মণিপুর পিপলস লিবারেশন আর্মি (manipur peoples libaration army) ও নাগা পিপলস ফন্ট নামে আরও একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন।
গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মণিপুর সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলেরের বিভিন্ন সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের মূল ডেরা মায়ানমারের অভ্যন্তরে। এবারে হামলা চালানো পিপলস লিবারেশন আর্মিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে চিনে সেনা। মায়ানমারের ঘন জঙ্গল এলাকার গোপন শিবিরে হয়েছিল ট্রেনিং।
গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, হামলাকারীদের অত্যাধুনিক অস্ত্রও তুলে দিয়েছে চিন। এই দাবির স্বপক্ষে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা বিভাগ মণিপুর সীমানার কাছে অবস্থিত ওই সমস্ত জঙ্গি শিবিরের ছবি ড্রোনের মাধ্যমে সংগ্রহ করছে। সেই ফুটেজই স্পষ্ট শিবিরে চিনের সেনাবাহিনীর একাধিক সদস্য ছিল।
মনে করা হচ্ছে,আন্তর্জাতিক সীমান্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকা নিয়ে বিরোধের জেরে চিন ভারতের উপ ক্ষুব্ধ। একইসঙ্গে তাইওয়ান (tiwan) ও তিব্বতের (tibet) প্রশ্নে ভারতের অবস্থানে চিনের ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু চিন নয় দীর্ঘ সময় ধরে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর মদতে চলছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে উস্কানি দেওয়ার কাদের। বর্তমানে মায়ানমারে সেনা শাসন। আর ভারত সংলগ্ন এলাকায় বর্মী সেনা সবথেকে বেশি সশস্ত্র হামলার মুখে পড়েছে।
<
p style=”text-align: justify;”>ভারতের পক্ষ থেকে মায়ানমারের সেনা সরকারকে সাফ জানানো হয়, সে দেশের উরতাগা অঞ্চলে বেশকিছু জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যেন অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।




