পারিবারিক অশান্তিতে শিশু কোনও স্থানাস্তরযোগ্য সম্পত্তি নয়, মত সুপ্রিম কোর্টের

শিশুরা কোনও স্থানাস্তরিত সম্পত্তি নয় যে, ইচ্ছে মতো এদিকে-ওদিকে পাঠানো যাবে। শনিবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই মত দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court of india)। একটি…

Children are not transferable assets Supreme court of india observaton

শিশুরা কোনও স্থানাস্তরিত সম্পত্তি নয় যে, ইচ্ছে মতো এদিকে-ওদিকে পাঠানো যাবে। শনিবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই মত দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court of india)। একটি শিশুর কাস্টডি নিয়ে হেভিয়াস-করপাস মামলায় এমনটাই মত দিয়েছে শীর্ষ আদালত। দুই বছর বয়সি একটি শিশুর মা খুব অল্প বয়সে মারা যান। তারপর থেকেই মাসির কাছে বড় হয়েছে শিশুটি। 

‘ভগবান আপনাকে শাস্তি দিয়েছেন….’, ভিনেশদের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে কটাক্ষ ব্রিজ ভূষণের

   

গত বছর তাঁর বাবা এসে শিশুটির কাস্টডি চাইলে বেঁকে বসেন শিশুটির মাসি। মামলাটি গড়ায় মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টে। তখন ওই শিশুটিকে তার বাবার কাছেই ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তা মানতে চাননি শিশুটির মাসির পরিবার। শিশুটির বাবার বিরুদ্ধে অতঃপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তাঁরা। অবশেষে হাইকোর্টের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ভারী বৃষ্টিতে বিদ্ধস্ত রাজস্থান, আজমেরে বন্যা পরিস্থিতি, বন্ধ স্কুল

সম্প্রতি শিশুর কাস্টডি চেয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে যায় শিশুটির বাবা। হাইকোর্ট শিশুটিকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এই বিষয়টি শীর্ষ আদালতে পৌঁছায় এবং শীর্ষ আদালত সেসময় হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। গতকাল পিটিশনটি সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। বিচারপতি এ এস ওকা এবং এ জি মাসিহ-র বেঞ্চ জানায়, এই ধরনের বিষয় মানবিকতা দিয়ে বিচার করা দরকার। শিশু কোনও ‘স্থানান্তরযোগ্য সম্পত্তি’ নয়। তার মানসিক অবস্থার কথা না ভেবে তাকে চাইলেই আজ এখানে কাল ওখানে পাঠানো যায় না।

শহরে এবার মহিলা ‘সিরিয়াল কিলার’! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন দুই নিরপরাধ, এরপর…

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্ট শিশুর মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেনি। মায়ের পরে সাধারণভাবেই অভিভাবক হিসেবে যেহেতু বাবার নামই আসে তাই শুধু সেটা মাথায় রেখেই নিয়ম অনুযায়ী শিশুটির কাস্টডি তার বাবাকে দিয়েছে। কিন্তু যখন কোনও শিশুর কাস্টডি নিয়ে কথা উঠছে তখন অবশ্যই সবার উপরে তার সুরক্ষা ও তার ভাল থাকার বিষয়টি আসে। শিশুর ভাল থাকা বা সুরক্ষার উপরে আর কিছু নয়। আদালত জানায়, বাচ্চাটির সঙ্গে তার বাবা দেখা করতে পারবে ১৫ দিনে একবার করে।