চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Chennai Airport) আবারও বড়সড় মাদক পাচারের চক্র ভেঙে দিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ফুকেট থেকে চেন্নাইয়ে আসা বিমানে দুই মহিলার লাগেজ থেকে উদ্ধার হলো প্রায় ২৮.০৮০ কেজি উচ্চমানের হাইড্রোপনিক গাঁজা, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১০ কোটি টাকা। ঘটনাটি ঘটে ১৩ নভেম্বর।
NCB কর্মকর্তারা জানান, দুই যাত্রীর ট্রাভেল প্যাটার্ন, টিকিট বুকিংয়ের অস্বাভাবিকতা এবং লাগেজের ওজন তাঁদের সন্দেহ বাড়ায়। স্যুটকেস স্ক্যানের পর অসঙ্গতি ধরা পড়লে বিস্তারিত চেকিং করা হয়। এরপরই ব্যাগের ভেতর বহুস্তরে মোড়া উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন হাইড্রোপনিক গাঁজা উদ্ধার হয়।
জেরায় ধরা পড়ে, ফুকেট বিমানবন্দরে তাঁদের হাতে স্যুটকেস তুলে দেওয়া হয়। চেন্নাইয়ে পৌঁছে এই ব্যাগ একটি নির্দিষ্ট লোকেশনে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছিল। তদন্তে উঠে এসেছে, দুই মহিলা মূলত ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিলেন।
গ্রেফতার হওয়া দুই নারীর একজন পেশায় রিয়েল এস্টেট অপারেটর, যিনি দ্রুত লাভের লোভে এই রিস্ক নিতে রাজি হন। অপরজন একজন দুবাই-ফেরত প্রাক্তন গৃহকর্মী বর্তমানে চেন্নাইয়ে বসবাস করেন এবং মাঝে মাঝে কোলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করেন।
NCB-এর প্রাথমিক অনুমান, এই উচ্চমূল্যের হাইড্রোপনিক ক্যানাবিস মূলত শহরের অভিজাত মহল এবং কোলিউড ফিল্ম সার্কিটের নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্যই আনানো হয়েছিল। থাইল্যান্ড থেকে এমন ধরনের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গাঁজা এর আগে বহুবার ভারতে ঢোকার চেষ্টা হয়েছে, তবে এই পরিমাণে উদ্ধার নজিরবিহীন।
NCB দল এখন থাইল্যান্ডের সাপ্লায়ারদের খুঁজছে এবং ভারতের অভ্যন্তরে সম্ভাব্য ফিনান্সার, রিসিভার এবং বিতরণকারী নেটওয়ার্কের ওপর নজর রাখছে। এনসিবি জানিয়েছে, মাদক পাচারের বিরুদ্ধে যেকোনো তথ্য জানাতে নাগরিকরা ১৯৩৩ হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন। সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে।
সম্প্রতি কোলিউডের অভিনেতা শ্রীকান্ত এবং কৃষ্ণ-কে মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিশাল গাঁজা উদ্ধার দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতে মাদক সংযোগ নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
গ্রেফতার হওয়া দুই মহিলার বিরুদ্ধে NDPS আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তে আরও বড় আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।


