শিল্পী থেকে রাজনীতিবিদ, বাংলার এই অঞ্চলে বিয়ে ভাঙার হার বেশি, জেনে নিন আসল কারণ

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লকের বসনছোড়া (Chandrakona) গ্রাম পঞ্চায়েতের যদুপুর গ্রামের মানুষের জীবনে এখন এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তার বেহাল অবস্থা। রাস্তা…

Gold Price Today: Big Drop in Rates, Check 22 & 24 Carat Prices on August 13

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লকের বসনছোড়া (Chandrakona) গ্রাম পঞ্চায়েতের যদুপুর গ্রামের মানুষের জীবনে এখন এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তার বেহাল অবস্থা। রাস্তা তো থাকছেই না, তার উপর বন্যার ক্ষতির পর পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। গ্রামবাসী এখন একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন, আর তার সাথে যোগ হয়েছে সামাজিক, পারিবারিক বিপদও।(Chandrakona) 

রাস্তার বেহাল দশা: বিয়ে ভাঙার কারণ (Chandrakona) 

বছরের পর বছর ধরে গ্রামের রাস্তা মেরামত করার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় গ্রামবাসীদের জীবনদায়ী এই রাস্তা একটি অভিশাপে পরিণত হয়েছে। গ্রামে প্রবেশ করার একমাত্র রাস্তা বেহাল অবস্থায় (Chandrakona) পড়ে রয়েছে। কাদা-প্যাচপ্যাচে রাস্তা এবং অবিকল শিলাবতী নদীর পাড়ে পিচ্ছিল রাস্তা, যা একেবারে অব্যবহারযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রামবাসী কারও শরীর খারাপ হলে কাছাকাছি হাসপাতালে যাওয়া, বা জরুরি প্রয়োজনে অন্য কোথাও যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রাস্তা না থাকার কারণে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনা পর্যন্ত ঘটে যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এই রাস্তা যে ভাবে বেহাল অবস্থায় রয়েছে, তা এক ধরনের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রামের জন্য(Chandrakona) 

   

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একাধিকবার (Chandrakona) প্রশাসনের কাছে এই রাস্তার উন্নতি ও মেরামতের দাবি জানিয়েও শুধুমাত্র আশ্বাসই পেয়েছেন। কোনও কাজই হয়নি। বাম আমলের সময়ে শুরু হলেও বর্তমান প্রশাসনও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি, যার ফলে রাস্তার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে বন্যায় শিলাবতী নদীর পাড় ভেঙে যাওয়া, তার উপর গ্রামে ভিতরের রাস্তা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। গ্রামটির ৯০টির মতো পরিবার বর্তমানে বেহাল রাস্তায় চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছে(Chandrakona) 

বন্যার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ (Chandrakona) 

বন্যার পর রাস্তার অবস্থা আরও সঙ্গিন হয়ে উঠেছে। গত বন্যায় রাস্তা ও পুকুরের পাড় ভেঙে তছনছ হয়ে যাওয়ার পর, গ্রামের লোকজনের যাতায়াত একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। চারচাকা গাড়ি তো দূরের কথা, মোটর বাইক নিয়েও গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। একমাত্র উপায় হাঁটাচলা, তবে সেটাও এখন ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গরিব মানুষের স্কুলে যাওয়া, জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম যে কয়টি পথ ছিল, সেগুলোর সবই এখন কাদা-পানির মধ্যে ঢাকা পড়ে গেছে(Chandrakona) 

Advertisements

গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন, এমন পরিস্থিতি দেখে তাঁরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছেন। সুধা কৃষ্ণ চক্রবর্তী নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “গাড়ি তো দূরের কথা, হেঁটেও যাওয়া যায় না। বন্যার জলে রাস্তা ভেসে গেছে। গরিব মানুষ স্কুলে গিয়ে থাকছেন, এবং বেশিরভাগ মানুষ কোনভাবেই চলাচল করতে পারছেন না।”

প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া

এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা দুই নম্বর ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেন, “এবারের বন্যায় চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে আমরা দ্রুত রাস্তা মেরামত করার কাজ শুরু করবো এবং শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক হবে।” কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ব্যাপারে এত বছর কেন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? একাধিকবার গ্রামবাসীরা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ পায়নি।