নির্বাচনী সাফল্য মিলেছে। আপাতত কিং-মেকারদের অন্যতম চন্দ্রবাবু নাইডু। বিরোধীদের তরফে ইতিমধ্যেই ফোন গিয়েছে দক্ষিণী এই নেতার কাছে। এনডিএ নাকি ‘ইন্ডি’ জোট- কার পক্ষ নেবেন টিডিপি প্রধান? জল্পনা তুঙ্গে। এইসবের মধ্যেই সুযোগ বুঝে এনডিএ শিবিরের কাছে দাদবি-দাওয়া পেশ করতে শুরু করে দিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু।
টিডিপি প্রধান কী জোট পাল্টাচ্ছেন? চন্দ্রবাবুর সাফ জানিয়েছেন, এনডিএ জোটের প্রতিই থাকবে তাঁর সমর্থন। পোড়খাওয়া এই নেতার দাবি, তাঁর কাছে বিরোধীর তরফে কোনও বার্তা আসেনি, কেউ যোগাযোগও করেননি। বুধবার এনডিএ-র বৈঠকে যোগ দিতে চন্দ্রবাবু পোঁছে গিয়েছেন দিল্লিতে। বিকেলে বসবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের বৈঠক।
বন্ধু পেতে মরিয়া চেষ্টা, সরকার গড়তে বার্তা-কৌশল মমতা-মোদির
রাজধানীতে যাওয়ার আগে এ দিন বিজয়ওয়াড়ায় সাংবাদিক বৈঠক করেন চন্দ্রবাবু নাইডু। সেখানেই তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে অভিজ্ঞ এবং আমি এই দেশে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখেছি। আমরা এনডিএ-তে আছি, দিল্লিতে এনডিএ-র বৈঠকে যোগ দেব।’
সরকার গড়তে একই বিমানে নীতীশ-তেজস্বী
চন্দ্রবাবুর সংযোজন, ‘ভোটারদের সমর্থনের জন্য আমি খুব খুশি। রাজনীতিতে উত্থান-পতন সাধারণ বিষয়। ইতিহাসে অনেক রাজনৈতিক নেতা ও দলকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। এটা ছিল একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন, এমনকী বিদেশ থেকে ভোটাররা তাঁদের ভোট দিতে নিজের শহরে ফিরে এসেছেন।’
অন্ধ্রপ্রদেশে এবার টিডিপি, এনডিএ-র সঙ্গে জোট বেঁধে বিদানসভা ও লোকসভা ভোট লড়েছিল। অবশ্য তার আগেই অন্ধ্রের দল জনসেনা চন্দ্রবাবুর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। ফলে ভাল ফলের পর জনসেনা প্রধান প্রধান পবন কল্যাণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন টিডিপি নেতা। বলেছেন ‘রাজ্যকে বাঁচানোর দায়িত্বে জনসেনা এগিয়ে এসেছে, তাঁদের ধন্যবাদ।। আমিও বন কল্য়াণজিকে ধন্যবাদ জানাই জোটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। তারপর বিজেপি এসে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিল এবং আমরা সবাই এই জয়ের জন্য একসঙ্গে কাজ করেছি।’