হাজতে বাবা, তবুও আতঙ্কে ছাত্রীরা! বলছেন, “লড়াই এখনও বাকি”!

নয়াদিল্লি: ১৭ জন ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, কোটি টাকার জালিয়াতি, ভুয়ো আন্তর্জাতিক পরিচয় সহ একাধিক অভিযোগে বর্তমানে গরাদের পেছনে ‘অধিষ্ঠিত’ হয়েছেন স্বঘোষিত ‘গডম্যান’ চৈতন্যনন্দ সরস্বতী (Chaitanyananda…

নয়াদিল্লি: ১৭ জন ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, কোটি টাকার জালিয়াতি, ভুয়ো আন্তর্জাতিক পরিচয় সহ একাধিক অভিযোগে বর্তমানে গরাদের পেছনে ‘অধিষ্ঠিত’ হয়েছেন স্বঘোষিত ‘গডম্যান’ চৈতন্যনন্দ সরস্বতী (Chaitanyananda Saraswati)। পাঁচদিনের জেল হেফাজতে বাবাজিকে ম্যারাথন জেরা করছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু গেরুয়া-ধারী বাবাজি হাজতে থাকলেও আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নির্যাতিতা ছাত্রীদের।

Advertisements

তাঁদের ভয়, নিজের ‘সোর্স’ কাজে লাগিয়ে ঠিক জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যাবেন বাবাজি। শনিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ আগ্রার একটি হোটেল থেকে চৈতন্যনন্দ সরস্বতী (Chaitanyananda Saraswati) ওরফে ড. পার্থসারথিকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ সামনে আসতেই দিল্লির শ্রী সারদা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট-রিসার্চের পরিচালকের দারিত্বে থাকা স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী আত্মগোপনে চলে যান।

   

EWS বৃত্তির আওতায় ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত ১৭ জনেরও বেশি ছাত্রী তার বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা, অবাঞ্ছিত শারীরিক যোগাযোগ এবং অশ্লীল বার্তা পাঠানোর অভিযোগ আনেন। বাবাজির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ওঠে যে উনি গার্লস হোস্টেলের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন। রবিবার পাটিয়ালা হাউস কোর্টের শুনানিতে দিল্লি পুলিশ বাবার কার্যকলাপ ফাঁস করে।

এর আগে ২০১৬ সালে বাবাজির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে জানিয়েছেন এক অত্যাচারিত ছাত্রীর বান্ধবী। অফিসে ডেকে চৈতন্যনন্দ তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন বলে জানান ওই তরুণী। এমনকি তাঁকে ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোনও কেড়ে নিয়েছিল বাবাজি বলে জানান ওই তরুণী। চৈতন্যনন্দের ভয়ে তিনি হোস্টেল থেকে পালিয়ে গেলেও তাঁকে ধরে ফেলেছিল বাব্জির লোকজন!

চৈতন্যনন্দের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, স্বঘোষিত গডম্যাক কেবলমাত্র একজন যৌন নির্যাতনকারিই নন, সেইসঙ্গে একজন প্রতারকও বটে। গেরুয়া-ধারী বাবাজির প্রায় ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি এবং অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এমনকি ওনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও ব্যাংক থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন চৈতন্যনন্দ বলে জানা গিয়েছে। নির্যাতিতারা বলছেন, এটা ন্যায় পাওয়ার লক্ষে কেবলমাত্র প্রথম ধাপ। এখনও অনেক পথচলা বাকি। অভিযুক্ত বাবাজীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।