তারিফ-যোগ্য উদ্যোগ কেন্দ্রের, এবার ১৬ হাজার ফুটেও সেনাদের জন্য মোবাইল সংযোগ

Breaking News Kolkata24x7 Bengali News

দুর্গম কার্গিলে অসামান্য উদ্যোগ কেন্দ্রের। বিজ্ঞানের পরিপূর্ণ ব্যবহার সুনিশ্চিৎ করল ভারতীয় সেনার সুরক্ষা। ২৬ জুলাই, কার্গিল বিজয় দিবস। আর এই দিনেই নিজেদের প্রশংসনীয় উদ্যোগের কথা তুলে ধরল টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ। কার্গিল অঞ্চলে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় এবার মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন কর্তব্যরত সেনা জওয়ানরা। কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপনে যেমন এ এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ, তেমনই দেশের বীর জওয়ানদের সুরক্ষায় এক অগ্রগণ্য উদ্যোগ।

Advertisements

টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ তাদের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কার্গিলের একটি তুষারময় চূড়ার উপরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ব্যক্তির ছবি শেয়ার করেছে। ক্যাপশনে লেখা, “কারগিলে আমাদের জওয়ানদের জন্য টেলিকম সংযোগ সক্ষম করা হল।” টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ এক্স হ্য়ান্ডেল পোস্টে হ্যাশট্যাগ দিয়েছে, “কারগিলবিজয়দিবস”।

১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে ভারতের বিজয় স্মরণে প্রতি বছর ২৬ জুলাই ‘বিজয় দিবস’ পালন করা হয়। দিনটি জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিল অঞ্চলে অতি উচ্চতার যুদ্ধের সময় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা করা আত্মত্যাগকে সম্মান করে। দিনটি এই বিজয়ের উদযাপন এবং বীর সেনাদের আত্মত্যাগের স্মরণ করিয়ে দেয়।

দেশি আলুর দামে ছ্যাঁকা! চিন্তা নেই, এবার পাত ভরাবে ভুটানি আলু

Advertisements

কার্গিলে টেলিকম সংযোগের উন্নতি করে, কেন্দ্রীয় বিভাগটি শুধুমাত্র যুদ্ধের বীরদের স্মৃতিকেই সম্মান করছে না, বরং সেখানে কর্তব্যে থাকা জওয়ানদের জীবনযাত্রার মানও কিছুটা উন্নত করছে। মোবাইল সংযোগ নিশ্চিত করে যে, অতি উচ্চতায় কর্তব্যরত জওয়ানরা যেন তাঁদের দায়িত্ব অক্লেশে পালন করতে পারেন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে, শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা এক্সবার্তায় ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে একটি “বিশেষ পণ্যসম্ভার” বহনকারী কনভয় রয়েছে৷ মাহিন্দ্রা জানিয়েছেন যে, কনভয়টি “১.৪ বিলিয়ন মানুষের কৃতজ্ঞতা বহন করেছে।” তিনি যোগ করেছেন, “তবে আমরা শুধু ধন্যবাদ বলিনি।’ আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি যেমনটি আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গে করে থাকি। কারণ ওরা আমাদের সব পরিবারের জন্য তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে।”

কার্গিল যুদ্ধ ১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত হয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল যখন নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে এ দেশের ভূমি জখল করে। দখলকৃত এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতীয় সামরিক বাহিনী অপারেশন বিজয় শুরু করেছিল। ভারত পাক হানাদারদের পিছু হটিয়ে যুদ্ধে জয়ী হয়।