মিলল জিকা ভাইরাসের হদিশ! সতর্কতা জারি কেন্দ্রের

জিকা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে মহারাষ্ট্রে। এরপরি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জিকা ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকাতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মূলত গর্ভবতী মহিলারা যাতে জিকা ভাইরাসে…

Centre issues advisory to states on Zika virus, জিকা ভাইরাস

জিকা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে মহারাষ্ট্রে। এরপরি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জিকা ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকাতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মূলত গর্ভবতী মহিলারা যাতে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সে জন্য নজরদারি করতে বলা হয়েছে। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত মায়ের পেটের মধ্যে থাকা ভ্রুণ কী পরিস্থিতিতে রয়েছে সেটার উপর নিয়মিত খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে।

এডিশ মশার হাত থেকে রক্ষা মেলে এমন সব ব্যবস্থা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে করার কথা জানানো হয়েছে। মশা বৃদ্ধি রুখতে সব আবাসিক এলাকা, কর্মস্থল, স্কুল, নির্মীয়মান বাড়ি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলিতে নজরে রাখতে বলা হয়েছে।

   

৩রা জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এই জিকা ভাইরাস গর্ভবতী মায়ের পেটের ভেতরে থাকা ভ্রুণকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সেক্ষেত্রে সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক থাকাতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের উপর বাড়তি নজর রাখতে হবে।

জেলমুক্তির পরই বড় চমক হেমন্ত সোরেনের, ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জিকাতে আক্রান্ত হলেও তার লক্ষণ শরীরে বিশেষ দেখা যায় না। ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি পুনেতে, দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশানাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও আইসিএমআর অনুমোদিত কিছু ল্যাবে এই ধরণের জিকা ভাইরাসের পরীক্ষা করা যায়।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে জিকা মূলত এডিশ মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটা অনেকটা ডেঙ্গি ও চিকুগুনিয়ার মতো। তবে এই রোগ থেকে সেভাবে মৃত্যুর সম্ভাবনা কম। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে। গর্ভস্থ শিশুর মাথার আকৃতি কমে যায়। এটাই একটা বড় উদ্বেগের বিষয়।

২০১৬ সালে প্রথম গুজরাটে এই জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলে। এরপর দেশের একাধিক রাজ্যে এই ধরণের ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল কেরল, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ,তামিলনাড়ু, কর্নাটক, দিল্লি ও মধ্যপ্রদেশ।