সমর্থনই সার! নীতীশকে ‘বুড়ো’ আঙুল মোদীর, জুটল না বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি

এনডিএ সরকারকে সমর্থন করে বিশেষ একটা সুবিধা করতে পারল না নীতীশ কুমার। বিহারকে বিশেষ রাজ্যের ( Bihar Special Status) মর্যাদা দেওয়ার দাবি আপাতত খারিজ করে…

Bihar special status

এনডিএ সরকারকে সমর্থন করে বিশেষ একটা সুবিধা করতে পারল না নীতীশ কুমার। বিহারকে বিশেষ রাজ্যের ( Bihar Special Status) মর্যাদা দেওয়ার দাবি আপাতত খারিজ করে দিল কেন্দ্র। সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই এই কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি লিখিত জবাবে জানান, বিহারকে বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা দেওয়া সম্ভব নয়।

TMC Panihati: তৃণমূলের মারমুখী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে যেন মমতা-অভিষেককেই অমান্যের ঔদ্ধত্য পানিহাটিতে!

   

গত ২৯ জুন জেডিইউয়ের জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে বিহারকে বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়, মোদী সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই কি এই প্রস্তাব পাশ করেছে জেডিইউ? কারণ, কেন্দ্রে এনডিএ-র গুরুত্বপূর্ণ শরিক জেডিইউ। নীতীশের দল ও চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি-র সমর্থনের উপর মোদী সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভর করছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকে তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। জেডিইউয়ের সাংসদ রামপ্রীত মণ্ডল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কাছে জানতে চান, বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রের আছে কিনা।

মূল্যবৃদ্ধি মেনেও বাজেটের আগে আর্থিক সমীক্ষায় বড় দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলার

কিন্তু তাতে নির্মলার লিখিত জবাব, ‘এখনই বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া সম্ভব নয়।’ নির্মলার যুক্তি, ‘অতীতে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল যে শর্তগুলির ভিত্তিতে একাধিক রাজ্যকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছে সেগুলি হল, ১। পাহাড়ি এলাকা বা কঠিন ভৌগলিক অবস্থান। ২। কম জনঘনত্ব, আদিবাসী বহুল রাজ্য, ৩। সীমান্ত এলাকায় কৌশলগত অবস্থান, ৪। আর্থিক এবং পরিকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে পড়া। ৫। রাজ্যের কোষাগারের বেহাল অবস্থা। নির্মলা জানিয়েছেন, ২০১২ সালে বিহারের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রী গোষ্ঠীতে আলোচনা হয়েছিল। সেসময় সিদ্ধান্ত হয়, উক্ত শর্তগুলির কোনওটিতেই বিহার আসে না।

মধ্যবিত্তের ঘাড়ে কোপ! মঙ্গলবার থেকে পকেট পুড়তে পারে আলুর দামে

কেন্দ্রীয় সরকার জেডিইউয়ের দাবি খারিজ করার পরই সরব হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি। নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ করে এক্স হ্যান্ডলে আরজেডির তরফে বলা হয়, ‘কেন্দ্রে ক্ষমতার ফল উপভোগ করুন নীতীশ কুমার এবং জেডিইউ নেতারা। আর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা নিয়ে তাঁদের নাটক জারি রাখুক।’
সরকারি সূত্র বলছে, ২০১৪-১৫ আর্থিক বছর পর্যন্ত ১১টি রাজ্য বিশেষ ক্যাটেগরির মর্যাদা পেয়েছে। তারা নানা সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু, ২০১৪ সালে প্ল্যানিং কমিশন বিলোপ করে নীতি আয়োগ গঠনের পর গড়গিল ফর্মুলা মেনে বরাদ্দ বন্ধ করা হয়। তার জায়গায় সব রাজ্যের বরাদ্দ বাড়ানো হয়। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে আর কোনও রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, সংবিধান এই বিশেষ মর্যাদা অনুমোদন করে না।