নয়াদিল্লি: সোমবার সন্ধ্যা ৬.৫২ মিনিটে কেঁপে উঠেছিল রাজধানী। লাল কেল্লার অনতিদূরে ট্রাফিক সিগন্যালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Delhi Blast) রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মানুষের দেহাংশ। জম্মু কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি হামলা, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত ঘটলেও নরেন্দ্র মোদী জমানায় রাজধানীর বুকে এটিই ছিল প্রথম বিস্ফোরণ। দু-দিন পর অবশেষে দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ (Terrorist Attack) বলে উল্লেখ করল কেন্দ্র সরকার।
বুধবার সেইসঙ্গে তদন্তকারী দলগুলিকে এই ঘটনাকে “অতি জরুরি এবং পেশাদারিত্ব”-এর সঙ্গে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। দোষী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিলম্ব না করে বিচারের আওতায় আনতে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
বৈঠকের পর সরকারের তরফে প্রকাশিত বিবরটিতে বলা হয়, “২০২৫ সালের ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়ি বিস্ফোরণের (Delhi Blast) মাধ্যমে দেশবিরোধী শক্তি দ্বারা সংঘটিত এক জঘন্য জঙ্গি ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ভারত। এই বিস্ফোরণে একাধিক প্রাণহানি ঘটে এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়।” সেইসঙ্গে একে ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় ভারত বিরোধী যেকোনো হামলাকে ‘যুদ্ধ’ (অ্যাক্ট অব ওয়ার) হিসেবে দেখবে বলে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কিন্তু দিল্লির ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এবং ঘটনায় জইশ যোগ মিললেও হামলার পেছনে কে রয়েছে সেই বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও উল্লেখ করা হচ্ছিল না। শুধু তাই নয়, ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ’ বলেও এতদিন উল্লেখ করেনি সরকার।
উপরন্তু মঙ্গলবার সকালেই ভুটানের উদ্দেশ্যে রওনা হন নরেন্দ্র মোদী। ঘটনার পেছনে দোষীদের ‘হান্ট ডাউনের’ নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার দু-দিনের ভুটান সফর সেরে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এসে তিনি আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর সন্ধ্যেবেলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনিও।
অবশেষে দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ বলে উল্লেখ করল দিল্লি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, আগে যেকোনো সন্ত্রাসবাদী হামলার পর পাকিস্তানের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি বা নয়াদিল্লি। যদিও সন্ত্রাস দমন তথা ইউএপিএ-র আওতাও এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এখন কি তাহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে চলেছে নয়াদিল্লি? সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।


