ভুয়ো নথিতে নিয়োগ মামলায় ৫ কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে রিপোর্ট চাইলো সি বি আই

ভুয়ো নথির ভিত্তিতে আধাসেনায় নিয়োগ মামলায় পাঁচ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নোটিশ দিলো সি বি আই। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই ভুয়ো নথি অনলাইনে পাঠানো হয়েছিল বারাকপুরের প্রশাসনিক…

ভুয়ো নথির ভিত্তিতে আধাসেনায় নিয়োগ মামলায় পাঁচ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নোটিশ দিলো সি বি আই। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই ভুয়ো নথি অনলাইনে পাঠানো হয়েছিল বারাকপুরের প্রশাসনিক ভবনে। যে পাঁচটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নাম উল্লেখ করা আছে সেগুলি হলো বি এস এফ, এস এস বি, ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ, সি আই এস এফ ও অসম রাইফেলস।

সি বি আই এর দাবি এই বাহিনীগুলিতে উত্তর প্রদেশ এবং বিহার থেকে যারা যোগ দিয়েছেন তাদের নিয়োগ সন্দেহজনক। এদের মাদ্ধমেই এই জালিয়াতি চক্রটি নজরে আসে। বাংলার বাসিন্দা সেজে ভিন রাজ্য থেকে আসা যুবকরা কি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে নিযুক্ত হলো তা নিয়েই এই পাঁচ বাহিনীর কাছে রিপোর্ট চাইলো সি বি আই। সিবিআই এই পাঁচটি বাহিনীর প্রতি দাবি করেছে, নিয়োগের সময় প্রার্থীদের দেওয়া নথিগুলি যাচাই করা হোক। বাহিনীগুলির কাছে চাওয়া হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রদান করার জন্য। সিবিআই চায়, প্রতিটি নিয়োগের নথি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড চেক সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করা হোক।

   

এছাড়াও, সিবিআই বাহিনীগুলির কাছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় প্রয়োগ করা গাইডলাইন এবং প্রমাণের তথ্য সংগ্রহ করবে। প্রাথমিক তদন্তে, সিবিআই বেশ কিছু প্রার্থীকে ভুয়ো নথি দিয়ে বাহিনীতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখেছে, এবং সেজন্য তাদের নিয়োগ স্থগিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই একজন চক্রী মহেশ চৌধুরী কে গ্রেপ্তার করেছে সি বি আই। তাকে জেরা করে আরো চক্রীদের কাছে পৌঁছতে পারা যাবে বলে আশা করা যায়।

এই ঘটনা দেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলির নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা কমাতে পারে। তাই সিবিআই আশা করছে, তদন্তের পর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন কোনও জালিয়াতি চক্র গড়ে ওঠা প্রতিরোধ করা যায়। সিবিআই জানিয়েছে, তারা নিয়মিত তদন্ত করে যাবে এবং যেসব ব্যক্তি এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সিবিআই আরও জানিয়েছে, এই তদন্তের ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলির নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর নতুন গাইডলাইন এবং নির্দেশনা আসতে পারে, যাতে ভবিষ্যতে কোনও ধরনের দুর্নীতি বা জালিয়াতির সম্ভাবনা কমে আসে।