এবার আধাসেনা নিয়োগেও ডাক বিভাগের যোগ: দাবি সি বি আই এর

জাল পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির পর এবার আধাসেনায় ভুয়া নথির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার ঘটনায় বড়সড় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে ডাকবিভাগের ওতপ্রোত যোগসাজশের তথ্য। সিবিআই-এর দাবি,…

জাল পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির পর এবার আধাসেনায় ভুয়া নথির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার ঘটনায় বড়সড় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে ডাকবিভাগের ওতপ্রোত যোগসাজশের তথ্য। সিবিআই-এর দাবি, ডাকবিভাগের কিছু অসাধু কর্মীর মাধ্যমেই ভুয়া ঠিকানায় সরকারি নিয়োগ সংক্রান্ত নথি পাঠানো হতো এবং এর বিনিময়ে মোটা টাকা লেনদেন হত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সিএপিএফের ইঞ্জিনিয়ারিং স্টোরে নিযুক্ত মহেশ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই এবং তাকে জেরা করেই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে।

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই চক্রের মাধ্যমে অন্তত ১৫০ জন ভুয়া ঠিকানা এবং নথির সাহায্যে আধাসেনায় চাকরি পেয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক ভুয়া পরিচয়পত্র, জাল আধার কার্ড এবং ভুয়া রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট ব্যবহার করা হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। ধৃত মহেশ চৌধুরী টাকার বিনিময়ে ডাক কর্মচারীদের হাত করতো এবং তারাই এই এডমিট পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতো

   

প্রার্থীদের জন্য জাল পরিচয়পত্র তৈরি করা হতো, যাতে তারা নিয়োগের যোগ্য প্রমাণিত হয়। ডাকবিভাগের কর্মীদের মাধ্যমে ভুয়া ঠিকানায় প্রয়োজনীয় নিয়োগপত্র পাঠানো হতো, যা পরে সংগ্রহ করা হত। নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি চিঠিপত্র নির্দিষ্ট কিছু ডাক কর্মীর মাধ্যমে সরাসরি ভুয়া ঠিকানায় পাঠানো হতো, যাতে সেটি আইনত বৈধ বলে প্রমাণিত হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ায় প্রতিজনের কাছ থেকে ৫-১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হতো, যার একটি অংশ ডাকবিভাগের অসাধু কর্মীদের কাছেও পৌঁছাত।

এই ঘটনার পর ডাকবিভাগের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ডাকবিভাগের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সমস্ত সরকারি চিঠিপত্র এবং ভেরিফিকেশন লেটার ডাক মারফত প্রেরিত হয়। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে, অসাধু ডাককর্মীদের মাধ্যমেই ভুয়া ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে তা বৈধ বলে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং সুপরিকল্পিত জালিয়াতির অংশ। তবে ইতিমধ্যে ৭-৮ জন ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যাবহারকারি কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।