প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (TET Scam) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমস্ত নির্দেশ বহাল রেখেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর বুধবার সুপ্রিম কোর্টে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন সৌমেন নন্দী নামে এক ব্যক্তি৷
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কোনভাবেই যাতে না সুপ্রিম কোর্টে মামলা গড়ায় সেজন্য আগে থেকে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হল। যাতে দুই পক্ষের মতামত আদালতের কাছে তুলে ধরা যায়, সেকারণেই ক্যাভিয়েট জমা পড়ল৷
এমনিতেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া একাধিক নির্দেশকে বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগে দুর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআইয়ের একটি এসআইটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন । সেখানে স্পষ্ট ছিল আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে। সেই রায়কেও বহাল রেখেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালতে জানিয়ে দেয় সময় অনুযায়ী আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
পাশাপাশি ২৬৯ জনকে চাকরি পদ থেকে বরখাস্ত করেছিল আদালত। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ বহাল থাকবে। এই বরখাস্ত নিয়ম মেনেই হয়েছে স্পষ্ট করেছেন বিচারপতি। সিবিআই তদন্তের বিষয়েও কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ২৬৯ জন নিজেদের বক্তব্য সিঙ্গেল বেঞ্চে রাখতে পারবেন। বিচারপতি সেই বক্তব্য শুনবেন। ডিভিশন বেঞ্চে স্পষ্ট করা হয়েছে এই ২৬৯ জন জানতেন তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। এর সঙ্গে কোন পর্যায়ের দুর্নীতি হয়েছে তাঁরা সেটা জানতেন। সেই জ্ঞান নিয়েই এই ২৬৯ জন নিয়োগপত্র হাতে নিয়েছিলেন।
এরই সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। যার ফলে বিরাট চাপের মুখে মানিক, পর্ষদ ও সরকার। তাঁদের পদক্ষেপের আগেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করা হল।