ভারত, ৮ অক্টোবর: “রঙ বদলানো গিরগিটি” থেকে “দলবদলু”—প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) (পিকে) নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এমন বহু বিশেষণই ঘুরছে। কিন্তু সব সমালোচনার মাঝেও একটি বিষয়ে তাঁর শত্রু-মিত্র সকলেই একমত—পিকের আগমন বিহারের রাজনীতিতে এক নজির সৃষ্টি করতে পারে।
২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ভোট হবে দুই দফায়—৬ ও ১১ নভেম্বর। ফল ঘোষণা ১৪ নভেম্বর। ২২ নভেম্বর মেয়াদ শেষ হবে বর্তমান বিধানসভার। তার আগেই বিহারে প্রবেশ করতে চলেছে এক নতুন রাজনৈতিক প্লেয়ার—জন সুরাজ, যার মুখ প্রশান্ত কিশোর নিজেই।
রাজনৈতিক কৌশলবিদ হিসেবে দেশের একাধিক বড় নেতাকে বিজয়ের মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার পর এবার নিজেই ময়দানে নামছেন পিকে। যদিও এর আগে জন সুরাজ চারটি উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল, তবে তাতে কোনও জয় আসেনি। ২০২৫-এর বিধানসভা ভোটই হতে চলেছে জন সুরাজের প্রথম প্রকৃত পরীক্ষা। তিনি ঘোষণা করেছেন, তাঁর দল সবক’টি ২৪৩টি আসনে প্রার্থী দেবে। দল বলেছে, প্রার্থী তালিকায় থাকবে “চমক”, আর ৯ অক্টোবর প্রকাশিত হবে সেই তালিকা, যার মধ্যে থাকবে স্বয়ং পিকের নামও।
মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জন সুরাজ এখনও পর্যন্ত মূলত আকর্ষণ করছে:
যুবসমাজ
উচ্চবর্ণ ভোটার
মধ্যবিত্ত পরিবার
শিক্ষিত নাগরিক
তবে অন্যদিকে, স্থানীয়ভাবে এই দলকে অনেকেই ঠাট্টার ছলে ডাকছেন “ও পিলকা-ওয়ালা নাইকা পার্টি” বলে—ইঙ্গিত, এটি এলিট বা শহুরে মধ্যবিত্তদের দল। অথচ বিহারের রাজনীতি বরাবরই পরিচিত পরিচয়ভিত্তিক ভোট দিয়ে, যেখানে জাতপাত ও অঞ্চলভিত্তিক আনুগত্যই মূল চালিকাশক্তি।
পিকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সাহসী দাবি করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে বলেন,”আমরা হয় প্রথম হব, না হয় একেবারে শেষ। এই নির্বাচনে মাঝামাঝি বলে কিছু নেই।” তিনি আরও বলেছেন, জন সুরাজ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তবে প্রাক-নির্বাচনী একাধিক সমীক্ষা বলছে ভিন্ন কথা—তাতে দেখা যাচ্ছে, জন সুরাজ মাঝামাঝি স্থান পেতে পারে, অর্থাৎ তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারে।