লোকসভা ভোটের মুখে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁর আগাম গ্রেপ্তারির নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক বিষয়টি খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট, সন্ধে হলেই তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে বিরাট পুলিশ বাহিনী।রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় পড়ে যায়। তাঁর বাড়ির সামনে ছুটে আসা সহস্র আপ সমর্থক।
তাঁকে ন’বার সমন পাঠানো হলেও তিনি ইডি দপ্তরে যাননি। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে ইডির জালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। খবর সূত্রে জানা গিয়েছে তিনি ইডির জেলে রাত কাটিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে তাঁকে দিল্লির রাইসিনা এভিনিউ কোর্টে পেশ করা হবে। তার আগে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার রাতেই আপ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, কেজরিওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকেবন এবং জেল থেকেই সরকার চালাবেন। আপ সমর্থকরা দাবি করেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও আমাদের মন থেকে কি তাঁকে আটক করা যাবে ?
বিষয়টি আবেগতাড়িত শুনতে লাগলেও, কী বলছে আইন? সংবিধান অনুসারে কেজরিওয়াল পদত্যাগ নাও করতে পারেন, সেটা তাঁর কিংবা দলের ইচ্ছে। শুধু তাই নয়, তিনি সরকারী কাজকর্মও করতে পারেবন যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি দোষী সাব্যস্ত হচ্ছেন। তবে যতটা সহজ শুনতে লাগছে ততটা সহজ নয় বিষয়টি। আইনের গ্যাঁড়াকল রয়েছে। কারণ জেলে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে সকলেই সহজে দেখা করতে পারবেন না। সপ্তাহে দু’টির বেশী মিটিং করা যাবে না। সরকারী কাগজ পত্রে সই করতে পারেবন কিনা সেটাও আপাতত বিবেচ্য বিষয়। তবে কোনও আইনই তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরাতে পারে না।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে ইডি গ্রেপ্তারের পর চম্পাই সোরেনকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় আবার লালু প্রসাদ যাদব তাঁর স্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়ে আসেন তবে আপ সরকার জানিয়েছে যে কেজরিওয়ালই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।