পুরীর সমুদ্রে উল্টে গেল নৌকো, অল্পের জন্য রক্ষা সস্ত্রীক সিএবি সভাপতির

পুরীর সমুদ্র উপকূলে একটি মর্মান্তিক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলির দাদা এবং সিএবি সভাপতি (cab-president) স্নেহাশিস গাঙ্গুলী এবং তার স্ত্রী অর্পিতা। পুরীর সমুদ্রে স্পিডবোট চড়ার…

cab-president accident in puri

পুরীর সমুদ্র উপকূলে একটি মর্মান্তিক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলির দাদা এবং সিএবি সভাপতি (cab-president) স্নেহাশিস গাঙ্গুলী এবং তার স্ত্রী অর্পিতা। পুরীর সমুদ্রে স্পিডবোট চড়ার সময় স্পিডবোটটি গভীর সমুদ্রে উলটে যায়, যার ফলে চারজন পর্যটক প্রাণপণে বাঁচার জন্য সংগ্রাম করেন।

তবে, সৌরভ গাঙ্গুলীর ভাই স্নেহাশিস গাঙ্গুলী (cab-president) এবং তাঁর স্ত্রী অর্পিতা গাঙ্গুলী সহ চারজন পর্যটকই নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন। ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর প্রকাশ্যে আসে, যা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

   

ঘটনার বিবরণ

শনিবার সন্ধ্যা প্রায় ৬টার দিকে পুরীর লাইট হাউসের কাছে সোনার বাংলা হোটেলের সামনে সমুদ্রে উত্তাল জোয়ারের কারণে স্পিডবোটটি উলটে যায়। এই স্পিডবোটে মোট চারজন পর্যটক ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলীর দাদা স্নেহাশিস গাঙ্গুলী (cab-president) এবং তাঁর স্ত্রী অর্পিতা গাঙ্গুলী। স্পিডবোটটি উলটে যাওয়ার পর পর্যটকরা সমুদ্রের জলে ডুবে যান, কিন্তু সময়মতো লাইফগার্ডদের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে তাঁদের সকলকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

উদ্ধার অভিযানে জড়িত লাইফগার্ডরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পর্যটকদের উদ্ধার করেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সহায়তায় উদ্ধারকাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এটি ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্পিডবোটটি উত্তাল সমুদ্রের মাঝে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যাচ্ছে, এবং পর্যটকরা জলে পড়ে যাচ্ছেন। এই ভিডিও ভক্ত এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

পর্যটকদের অভিযোগ (cab-president) 

উদ্ধার হওয়া পর্যটকরা অভিযোগ করেছেন যে, স্পিডবোটটি উলটে যাওয়ার জন্য বোট অপারেটরের অবহেলা দায়ী। তাঁরা জানিয়েছেন, অপারেটর সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেননি এবং সমুদ্রের অবস্থা বিবেচনা না করে বোটটি চালিয়েছেন।

উচ্চ জোয়ারের সময় এমন ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বোট চালানোর সিদ্ধান্তকে তাঁরা দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মনে করছেন। পর্যটকরা জেলা প্রশাসনের কাছে স্পিডবোট পরিচালনাকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা আরও বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে এড়াতে নিরাপত্তা নিয়মাবলী কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত।

নিরাপত্তার প্রশ্ন

এই ঘটনা পুরীর সমুদ্র উপকূলে পর্যটন-সংক্রান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। পুরী ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেন। স্পিডবোট রাইড এবং অন্যান্য জলক্রীড়া এখানে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এখনও অনেক উন্নতির প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উচ্চ জোয়ারের সময় স্পিডবোট চালানোর আগে আবহাওয়া এবং সমুদ্রের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, পর্যটকদের জন্য লাইফ জ্যাকেট এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম বাধ্যতামূলক করা উচিত। এই ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন এবং পর্যটন কর্তৃপক্ষের উপর চাপ বেড়েছে, যাতে তারা নিরাপত্তা নিয়মাবলী কঠোরভাবে প্রয়োগ করে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

৫৪ বছর আগে করাচি বন্দরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ভারতের প্রথম সাবমেরিন INS কালভারী

Advertisements

সৌরভ গাঙ্গুলীর পরিবারের সাথে সম্পর্ক

স্নেহাশিস গাঙ্গুলী, (cab-president) সৌরভ গাঙ্গুলীর দাদা , একজন প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার এবং বর্তমানে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি)-এর একজন প্রশাসক। তাঁর স্ত্রী অর্পিতা গাঙ্গুলীও এই ঘটনায় যথেষ্ট শংকিত । এই দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সৌরভ গাঙ্গুলীর ভক্ত এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। সৌরভ গাঙ্গুলী, যিনি ভারতীয় ক্রিকেটের ‘মহারাজা’ হিসেবে পরিচিত, তাঁর পরিবারের সদস্যদের এই ঘটনায় নিরাপদে উদ্ধারের খবর ভক্তদের মনে স্বস্তি এনেছে।

স্নেহাশিস (cab-president) এবং অর্পিতা উভয়েই উদ্ধারের পর সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। তবে, এই ঘটনা তাঁদের জন্য একটি ভীতিকর অভিজ্ঞতা ছিল। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাঁরা এই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন, যেখানে তারা জানিয়েছেন কীভাবে স্পিডবোটটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায় এবং তারা জলে পড়ে যান।

প্রশাসনের ভূমিকা

এই ঘটনার পর পুরীর জেলা প্রশাসন এবং পর্যটন বিভাগের উপর দায়িত্ব পড়েছে যে, তারা স্পিডবোট অপারেটরদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করুক। পর্যটকদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, বোটটির অপারেটর সমুদ্রের অবস্থা সম্পর্কে পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করেননি। এছাড়া, বোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং দায়ী ব্যক্তি বা কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, পুরীর সমুদ্র উপকূলে ওয়াটার স্পোর্টস কার্যক্রমের জন্য নতুন নিরাপত্তা নির্দেশিকা জারি করার সম্ভাবনাও রয়েছে। পর্যটন বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এই ঘটনার পর আমরা সব বোট অপারেটরদের লাইসেন্স এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করব।”

পুরীর পর্যটনের উপর প্রভাব

পুরী ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের পাশাপাশি সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। স্পিডবোট রাইড, জেট স্কি, এবং অন্যান্য জলক্রীড়া এখানে পর্যটকদের জন্য বড় আকর্ষণ। তবে, এই ধরনের দুর্ঘটনা পর্যটকদের মনে ভয় তৈরি করতে পারে এবং স্থানীয় পর্যটন শিল্পের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনার পর পুরীর পর্যটন কর্তৃপক্ষের উচিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং পর্যটকদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সচেতনতামূলক প্রচার চালানো। এছাড়া, সমুদ্রে জলক্রীড়া কার্যক্রমের জন্য আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা ব্যবস্থা উন্নত করা প্রয়োজন।

পুরীর সমুদ্রে স্পিডবোট উলটে যাওয়ার ঘটনা সৌরভ গাঙ্গুলীর ভাই স্নেহাশিস তার স্ত্রী অর্পিতা সহ চার পর্যটকের জন্য একটি ভীতিকর অভিজ্ঞতা ছিল। তবে, লাইফগার্ডদের তৎপরতায় তাঁরা সকলেই নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন। এই ঘটনা পর্যটন-সংক্রান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেছে।

জেলা প্রশাসন এবং পর্যটন কর্তৃপক্ষের উচিত এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। পুরীর সমুদ্র সৈকত যাতে পর্যটকদের জন্য নিরাপদ এবং আনন্দদায়ক গন্তব্য হিসেবে থাকে, তা নিশ্চিত করতে সকল পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।