গুজরাট সুয়োরানী, আর বিহার্‌…? NDA-কে তোপ পিকের

পাটনা: দীপাবলির আগে থেকেই ভিনরাজ্যে থাকা বিহারীদের উৎসবের মরশুমে ঘরে ফেরার ধুম পড়ে। দীপাবলি এবং ছট পুজো (Chhath)স্বজনদের সঙ্গে কাটাতে এবছরও গত কয়েকদিন ধরে ধরা পড়ছে বিহারীদের রেল-যন্ত্রণা। ট্রেনের বাথরুমে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ যাত্রা করছেন প্রবাসি বিহারীরা। হয়েছে প্রাণহানিও।

Advertisements

এই নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে (Ashwini Vaishnaw) সমাজমাধ্যমে আক্রমণ করে আসছে কংগ্রেস। এবার এনডিএ সরকার থাকা সত্ত্বেও বিহারীদের এই দুর্ভোগ নিয়ে চরম কটাক্ষ করলেন ভোটকুশলী তথা জন সুরজ পার্টির প্রমুখ প্রশান্ত কিশোর (PK)।

শুক্রবার তিনি বলেন, “গুজরাটে ১ লক্ষ কোটি টাকার বুলেট ট্রেন চলছে। অথচ ছট পুজোয় বাড়ি ফিরতে ট্রেনে একটা বসার জায়গাও পাচ্ছেন না বিহারের যুবকরা”! তিনি আরও বলেন, “এটা জন সুরজ পার্টির জন্মভুমি। লালুর ‘অপশাসনে’-র ভয়ে মানুষ বিজেপিকে ভোট দেয়, আবার ঠিক তার উল্টোটাও হয়। এবার আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে বিহারের মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তাঁরা এই পরিস্থিতিতেই থাকতে চান নাকি পরিবর্তন চান!”

বিহারগামী ট্রেনে নেই তিল ধারণের জায়গা!

Advertisements

দিল্লি, মুম্বাই, সুরাট এবং পাঞ্জাবের মতো রাজ্য থেকে হাজার হাজার যাত্রী তাদের পরিবার নিয়ে বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রেল। বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলেও অনেকেই ‘পেশাল ট্রেন না পাওয়া’র অভিযোগ জানাচ্ছেন।

বুধবার দিল্লি থেকে পাটনা-গামী শ্রমিক এক্সপ্রেস এবং সম্পূর্ণ ক্রান্তি এক্সপ্রেসের মতো প্রধান ট্রেনগুলিতে যাত্রীদের এত ভিড় ছিল যে স্লিপার এবং এসি কোচগুলিও সাধারণ টিকিটধারী যাত্রীদের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। কনফার্ম টিকিট থাকা সত্ত্বেও ভিড়ের কারণে ট্রেনে উঠতে পারেননি অনেক যাত্রী। যারা উঠতে পেরেছিলেন তাড়া গেট, আইল এমনকি বাথরুমে দাঁড়িয়ে সফর করতে বাধ্য হন।

জেনারেল কোচগুলির অবস্থা ছিল সবচেয়ে খারাপ। লোকেরা দরজায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাটনায় পৌঁছয়। পাটনা জংশনে পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল। ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে কিছু যাত্রীকে জানালা দিয়ে নামতে দেখা গেছে। এমনকি রেলওয়ে পুলিশ এবং টিটিই কর্মীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।