বরেলিতে সাইলানি মার্কেটে দোকানের বাইরে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে বেরেলি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (Yogi Adityanath) এবং বরেলি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডিএ) যৌথভাবে একটি বড় ভাঙচুর অভিযান চালিয়েছে। শনিবার এই অভিযানে বেশ কয়েকটি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে, যা শহরের সৌন্দর্যায়ন এবং নিয়ম মেনে চলার বার্তা দিয়েছে। বিডিএ-র উপ-চেয়ারম্যান মণিকন্দন জানিয়েছেন, এই অভিযান অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে তাদের চলমান প্রচেষ্টার অংশ। তিনি বরেলির বাসিন্দাদের বৈধ মানচিত্র অনুমোদনের মাধ্যমে নির্মাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মণিকন্দন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বরেলি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির পক্ষ থেকে আমরা অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে নিয়মিত পদক্ষেপ নিচ্ছি। সাইলানি মার্কেটে নাফিস নামে এক ব্যক্তির দোকানের বাইরে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে নোটিস জারি করা হয়েছিল। ১৭ মে, ২০২৫-এ ভাঙচুরের আদেশ দেওয়া হয়। এটি আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ।”
তিনি আরও বলেন, “বরেলির বাসিন্দাদের অনুরোধ, তারা যেন তাদের নির্মাণের জন্য বিডিএ-র কাছ থেকে মানচিত্রের অনুমোদন নেন। এটি শহরের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।” অভিযানের সময় পুলিশ এবং বিডিএ-র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
সাইলানি মার্কেটে দোকানিরা দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাথ এবং রাস্তার উপর অবৈধভাবে দোকান সম্প্রসারণ করছিলেন, যা পথচারীদের চলাচল এবং ট্রাফিক ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করছিল। বিএমসি-র তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে প্রায় ৫০টিরও বেশি দোকানে অবৈধ নির্মাণ চিহ্নিত হয়েছে। গত বছর থেকে নোটিস জারি করা হলেও, অনেকে তা অগ্রাহ্য করেছেন। শনিবারের অভিযানে বুলডোজার ব্যবহার করে এই অবৈধ কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই অভিযানের ফলে রাস্তা পরিষ্কার হয়েছে, তবে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
একজন দোকানি, মোহাম্মদ শফি, বলেন, “আমরা বছরের পর বছর এখানে ব্যবসা করছি। হঠাৎ করে ভাঙচুরের নোটিস দেওয়া হল। আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।” তবে, বিডিএ-র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নোটিসের পর পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছিল, এবং এটি শহরের স্বার্থে করা হচ্ছে। সাইলানি মার্কেটের মতো ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায় অবৈধ দখলের ফলে পথচারীদের জন্য হাঁটা এবং যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছিল।
বিএমসি-র এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা শহরের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। অবৈধ দখল শুধু নিরাপত্তার প্রশ্নই নয়, শহরের সৌন্দর্যও নষ্ট করে।” এই অভিযান বেরেলির অন্যান্য বাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিডিএ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে শহরের অন্যান্য অঞ্চলে অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।
নরেন্দ্র মোদীর দুর্দান্ত Style, ফ্যাশন শো-তে গেলে উনিই হবেন শো-স্টপার: কঙ্গনা
গত বছর থেকে বেরেলিতে প্রায় ২০০টি অবৈধ কাঠামো চিহ্নিত হয়েছে, এবং বিডিএ এর মধ্যে ৮০টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। মণিকন্দন বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শহরকে পরিষ্কার এবং নিরাপদ করা। যারা নিয়ম মানেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”