BSF: বাংলাদেশ থেকে ঘন ঘন অনুপ্রবেশের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (BSF) ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে উচ্চ প্রযুক্তির নজরদারির জন্য একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আওতায়, বিএসএফ সীমান্তে শরীরে লাগানো ক্যামেরা লাগানো ২,৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে। ক্যামেরা লাগানো এই সেনারা সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চিতে কড়া নজর রাখবে।
বিশেষ বিষয় হলো, এই ক্যামেরাগুলির সাহায্যে সীমান্তে সংঘটিত প্রতিটি কার্যকলাপের ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে, যেমন গ্রেফতার, অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা বা সংঘর্ষ। এটি কেবল স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে না বরং সম্ভাব্য কোনও বিরোধ বা অভিযোগের ক্ষেত্রে স্পষ্ট ডিজিটাল প্রমাণও পাবে। এই ক্যামেরাগুলি নাইট ভিশন দিয়ে সজ্জিত এবং সীমান্তে ঘটে যাওয়া প্রতিটি কার্যকলাপ রেকর্ড করবে।
অনুপ্রবেশ রোধ করা হবে
এই ক্যামেরাগুলির উদ্দেশ্য হল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অবৈধ কার্যকলাপের উপর কঠোর নজরদারি রাখা। বিএসএফের মতে, এটি কেবল সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ রোধ করবে না, বরং যেকোনো বিরোধের ক্ষেত্রে স্পষ্ট প্রমাণও সরবরাহ করবে। বিএসএফ প্রায় ৫০০০টি শরীরে লাগানো ক্যামেরা পাবে। যার মধ্যে ২৫০০টি ইতিমধ্যেই শরীরে লাগানো ক্যামেরা পেয়েছে।
এই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দেশের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলির মধ্যে একটি, যা পাঁচটি রাজ্যের মধ্য দিয়ে গেছে:
১. পশ্চিমবঙ্গ প্রায় ২,২১৭ কিমি
২. ত্রিপুরা প্রায় ৮৫৬ কিমি
৩. মেঘালয় প্রায় ৪৪৩ কিমি
৪. মিজোরাম প্রায় ৩১৮ কিমি
৫. অসম প্রায় ২৬৩ কিমি
এর মধ্যে, বৃহত্তম সীমান্ত পশ্চিমবঙ্গে পড়ে, যা আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের একটি প্রধান কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত হয়।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী?
বিএসএফ কর্মকর্তাদের মতে, সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান এবং অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধে এই উদ্যোগ একটি বড় এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ। এটি সৈন্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত যেকোনো অভিযোগের প্রতিকারে সহায়তা করবে।
মোট কটি ক্যামেরা থাকবে?
বিএসএফ মোট ৫,০০০টি শরীরে জড়ানো ক্যামেরা পাবে। এর মধ্যে ২,৫০০টি ক্যামেরা ইতিমধ্যেই প্রথম ব্যাচে ফ্রন্টলাইনে মোতায়েন করা সেনাদের দেওয়া হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলির লাইভ ফিড পরে পর্যালোচনার জন্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে। সীমান্তে উচ্চ প্রযুক্তির নজরদারির এই প্রবর্তন ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তায় প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতিফলন। আগামী সময়ে, এই পদক্ষেপ নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা এবং নজরদারির নতুন মান স্থাপন করবে।