লখনউ: পুত্র সন্তান লাভের আশায় এক মহিলাকে (Woman Tortured) দু-বার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করানোর পর শ্বশুর এবং দেওরের সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য করানো হত! নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। জানা গিয়েছে। ২০২১ সালে মেহেক খানকে বিয়ে করেন শাহ ফাহীদ নামক এক ব্যক্তি। কয়েক মাসের মধ্যেই মেহেকের পরিবারের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা এবং গাড়ির দাবী করতে থাকে শাহ ফাহীদের পরিবার।
তা না দেওয়ায় মেহেক খানকে নিয়মিত মারধোর করত তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলে অভিযোগ। প্রহারের জেরে মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পান ওই মহিলা। এরপর কন্যা সন্তান জন্ম দিলে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। দ্বিতীয়বার সন্তানসম্ভবা হলে তাঁর আলট্রাসাউন্ড করে সন্তানের লিঙ্গ শনাক্ত করে সেটিকে নষ্ট করে দেয় শাহ ফাহীদের পরিবার।
দ্বিতীয়বারেও একইভাবে মেহেকের গরভের সন্তান নষ্ট করানো হয়। এরপর মেহকের শাশুড়ি সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুত্র সন্তানের জন্য দেওর এবং শশুরের সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য করত। নির্যাতিতা আরও অভিযোগ করেন যে তাঁর শ্বশুর এবং দেওর বেশ কয়েকবার তাঁর শ্লীলতাহানি এবং যৌন নির্যাতন করেন। স্বামী শাহ ফাহীদকে জানালেও কোনও লাভ হয়নি।
কয়েকদিন আগে মারধোর করে তাঁকে এবং তাঁর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন মেহেক খান নামক ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী শাহ ফাহীদ সহ শাশুড়ি, শ্বশুর মিলিয়ে পরিবারের ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।


