সামান্য হাওয়া! আর তার জেরেই ভেঙে (Bridge Collapsed) পড়ল ৪৯ কোটি টাকায় তৈরি সেতু একাংশ। যদিও পুরো সেতুর কাজ এখনও শেষ হয়নি। কাটমানির চাপে কাজ অর্ধসমাপ্ত রেখে পালিয়েছে ঠিকাদার। মাঝরাতে সেতুতে ভেঙে পড়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দিনের অন্য সময় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বড়সড় বিপদ হতে পারত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গনার।
সোমবার রাতে তেলেঙ্গানার পেড্ডাপল্লি জেলায় ওই নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। রাত ৯ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ প্রচণ্ড বাতাসের কারণে সেতুর দুটি পিলারের মধ্যে পাঁচটি কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়ে। বাকি তিনটি গার্ডারও যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা।
৬০০ মিটার দূরে ওদেদু গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান সিরিকোন্ডা বাক্কা রাও একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মাত্র কয়েক মিনিট আগে বিয়েবাড়ির একটি বাস ৬৫ জন নিমন্ত্রিতকে ওই সেতুর নিচ দিয়ে গিয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।
২০১৬ সালে তৎকালীন তেলেঙ্গানা বিধানসভার স্পিকার এস মধুসূদনা চারী এবং স্থানীয় বিধায়ক পুট্টা মধু মানাইর নদীর উপর প্রায় এক কিলোমিটার সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। এর জন্য প্রায় ৪৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল। যদিও নানা কারণে ৮ বছরেও এই সেতুর কাজ সমাপ্ত হয়নি।
এক বছরের মধ্যে এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। মন্থনি, পরাকাল এবং জাম্মিকুন্টার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার কমিয়ে আনার জন্যই এই সেতুর শিল্যানাস করা হয়। সেতুটি ভূপালপল্লীর টেকুমাতলা মণ্ডলের গারমিল্লাপাল্লু থেকে পেড্ডাপল্লীর ওডেডেডুকে সংযুক্ত করার কথা ছিল। এর ফলে উপকৃত হতেন কয়েক হাজার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কমিশনের চাপ থাকায় এবং সরকার ঠিকাদারের বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় কাজ শুরুর এক-দু বছরের মধ্যে তা বন্ধ করে দেন ঠিকাদার। ওই একই ঠিকাদার ভেমুলাওয়াদায় একটি সেতু নির্মাণ করেছিলেন, যা ২০২১ সালে ভারী বৃষ্টিতে ভেসে যায়।
গ্রামবাসীরা গত পাঁচ বছর ধরে সেতুর নিচে কাঁচা রাস্তা তৈরি করে যাতায়াত করছিলেন। এই সেতুর কাজ সমাপ্ত হওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপ রাও বলেন, প্রকল্পের খরচ বেড়ে গিয়েছিল। ৬০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। তা সত্ত্বেও গত বছর আরও ১১ কোটি টাকা সেতু নির্মাণের খরচের সঙ্গে যোগ করা হয়েছিল।