পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ হলে ভারতের ‘ব্রহ্মোস’ নাকি ‘স্ক্যাল্প’, কোনটি আক্রমণে বেশি শক্তিশালী হবে?

BrahMos vs Scalp: ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশকে রক্ষা করার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন এবং সেনাবাহিনীর শক্তিও বাড়ানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভারতীয়…

Brahmos

BrahMos vs Scalp: ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশকে রক্ষা করার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন এবং সেনাবাহিনীর শক্তিও বাড়ানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুটি শক্তিশালী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ব্রহ্মোস এবং স্ক্যাল্প নিয়ে এই প্রতিবেদনে পড়ুন।

ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে তৈরি করলেও, স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্রটি ফ্রান্স ও ব্রিটেন তৈরি করেছে। ব্রিটেনে একে স্টর্ম শ্যাডোও বলা হয়। এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই ভারতে ব্যবহৃত হয় এবং উভয়ই বিভিন্ন উপায়ে শত্রুকে লক্ষ্য করে। এমন পরিস্থিতিতে, যখন পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আসুন আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি যে এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে কোনটি আক্রমণে বেশি শক্তিশালী প্রমাণিত হতে চলেছে।

   

উভয় ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য
আমরা যদি উভয় ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্বের দিকে তাকাই, তাহলে উভয়ই নিজেদের মধ্যে খুবই বিশেষ। ব্রহ্মোসকে ‘শক এবং বিস্ময়’ অস্ত্র বলা হয়, অর্থাৎ, এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র যা তার গতি এবং শক্তি দিয়ে শত্রুদের ঘামিয়ে তোলে। এটি একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার গতি ম্যাক ৩ অর্থাৎ শব্দের গতির চেয়ে ৩ গুণ বেশি। এটি সমুদ্রের উপর দিয়ে অথবা অনেক উচ্চতায় উড়ে শত্রুকে ধোঁকা দিতে পারে।

যদি আমরা স্ক্যাল্প-এর কথা বলি, তাহলে একে ‘সাইলেন্ট অ্যাসাসিন’ বলা হয়। এর মানে হল এটি গোপনে আক্রমণ করে। এটি একটি সাবসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার গতি ম্যাক ০.৮ অর্থাৎ শব্দের গতির চেয়ে কম। এটি রাডার এড়িয়ে চলতে পারদর্শী এবং শত্রুর লক্ষ্যবস্তু গোপনে ধ্বংস করতে পারদর্শী।

BrahMos vs Scalp

ব্রহ্মোস এবং স্ক্যাল্পের মধ্যে পার্থক্য
যদি আমরা ব্রহ্মোস এবং স্ক্যাল্পের মধ্যে পার্থক্য দেখি, তাহলে উভয়ই একে অপরের থেকে অনেক আলাদা। ব্রহ্মোসের গতি ম্যাক ৩ এবং এটি ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। এটি জাহাজের মতো দ্রুতগতির লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে বিশেষজ্ঞ, যেখানে স্ক্যাল্পের গতি মাত্র ০.৮ ম্যাক, তবে এটি ৫৬০-৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। এটি শত্রুর রাডার এড়িয়ে ধীরে ধীরে এবং গোপনে উড়ে।

উভয়ই একে অপরের পরিপূরক
ভারত এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র একসাথে ব্যবহার করে তার শক্তি বৃদ্ধি করছে। ব্রহ্মোস শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যাহত এবং ভয় দেখানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে, যার ফলে স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্রগুলি গোপনে বড় লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। রাফায়েলে বিমানের স্পেকট্রা সিস্টেম স্ক্যাল্পকে সঠিকভাবে লক্ষ্য করতে সাহায্য করে। এটি ভারতের কিল ওয়েব কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

একদিকে, ব্রহ্মোস দ্রুত এবং শক্তিশালী, সমুদ্র ধ্বংস করতে এবং লক্ষ্যবস্তু স্থানান্তর করতে সক্ষম। অন্যদিকে, স্ক্যাল্প গোপন আক্রমণ এবং দুর্গ ভাঙার জন্য বেশি উপযুক্ত। ভারতের জন্য, উভয় ক্ষেপণাস্ত্রই একে অপরের ত্রুটিগুলি পূরণ করে, তাদের প্রতিরক্ষা কৌশলকে শক্তিশালী রাখে।