পাকিস্তানের পরমাণু ঘাঁটি উড়িয়ে দিল ব্রহ্মোস! CIA রিপোর্টে চাঞ্চল্য

brahmos-strike-pakistan-nuclear-base-kirana-hills-cia-report

নয়াদিল্লি: দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (CIA)-এর এক গোপন রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার পর। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক চার দিনের ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল ভারতের তিনটি ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলি সরাসরি আঘাত হানে পাকিস্তানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের প্রবেশদ্বারে পাঞ্জাব প্রদেশের কিরানা হিলস অঞ্চলে।

Advertisements

এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার দীর্ঘদিন ধরেই ওই পাহাড়ি অঞ্চলে মাটির নিচে গোপনে সংরক্ষিত ছিল। আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা CIA এই তথ্য জানিয়েছে যে, ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ RAW এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী যৌথভাবে এই গোপন ঘাঁটির অবস্থান নির্ধারণ করে এবং কৌশলগত মুহূর্তে আঘাত হানে।

   

পরপর দুর্ঘটনার পর মদ্যপ ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল সরকার!

সূত্র অনুযায়ী, যুদ্ধের তৃতীয় দিন রাতে ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং সেনা সমন্বয়ে চালানো হয় ‘অপারেশন বজ্রপাতে’, যেখানে তিনটি ব্রহ্মোস মিসাইল পরপর নিক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে দুটি সরাসরি টার্গেট ভেদ করে বিস্ফোরিত হয়, এবং একটি আংশিকভাবে ক্ষতি করে পাহাড়ের ভেতরে লুকানো বাঙ্কার ব্যবস্থাকে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই আঘাতের পর পাকিস্তানি সেনা ও গোয়েন্দা শীর্ষকর্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ইসলামাবাদ থেকে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। চতুর্থ দিনের মধ্যেই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায় জাতিসংঘের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনার কৌশলগত নির্ভুলতা এবং প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বই এই যুদ্ধে ভারতের পক্ষে গেমচেঞ্জার হয়ে ওঠে।

Advertisements

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ভারতীয় সামরিক ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র, যা যৌথভাবে ভারত ও রাশিয়া তৈরি করেছে, বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি মাটি, আকাশ ও সমুদ্র তিন মাধ্যম থেকেই উৎক্ষেপণ করা যায়। কিরানা হিলসের মতো পাহাড়ি ভূখণ্ডে থাকা শক্তিশালী বাঙ্কার ধ্বংস করার জন্য এটি ছিল নিখুঁত অস্ত্র।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “ভারত কারও ভূখণ্ডে আগ্রাসন চায় না। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা এক ইঞ্চিও পিছিয়ে যাব না।” অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা দফতর এই রিপোর্টকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেছে।

তবে CIA-এর রিপোর্টে সংযুক্ত স্যাটেলাইট ছবি ও থার্মাল ইমেজিং ডেটা স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে, কিরানা হিলস অঞ্চলে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর বড়সড় ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু ভারত–পাকিস্তান সংঘাত নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে ভারতের স্পষ্ট প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার বার্তা। আন্তর্জাতিক মহলে এখন আলোচনার কেন্দ্রে — ভারতের ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক ক্যাপাবিলিটি’।