নয়াদিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর : সকাল সকাল রাজধানীতে চাঞ্চল্য। দিল্লি (Delhi) হাইকোর্টে ছড়াল বোমাতঙ্ক। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আদালতের ইমেইল আইডিতে একটি মেইল আসে। তারপরেই কার্যত আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে আদালত চত্বরে। এই রহস্যজনক মেইলে দাবি করা হয়েছে যে বিচারকদের অফিস এবং আদালত কমপ্লেক্সে তিনটি বোমা লাগানো হয়েছে।
এই হুমকির ফলে আদালতের সব বেঞ্চ অস্থায়ীভাবে উঠে যায়, সকল কর্মী, আইনজীবী এবং জজদের খালি করে দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে জোরদার করা হয়। ইমেইলে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দুপুরের নামাজের পরপরই বিস্ফোরণ ঘটবে। স্বভাবতই এই ইমেইল পাওয়ার পর আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং তৎক্ষণাৎ বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেন।
দিল্লি হাইকোর্টের মতো সংবেদনশীল এলাকায় বোমাতঙ্কের খবর পেয়েই বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় এবং পুলিশ কুকুর দিয়ে আদালত চত্বরে বোমাগুলি চিহ্নিত করা শুরু হয়। শুধু বম্ব স্কোয়াড নয় দিল্লি ফায়ার সার্ভিসও একটি কল পেয়ে একাধিক ফায়ার টেন্ডার পাঠিয়েছে। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেছেন, “আমরা এই হুমকিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি।
অনুসন্ধান চলছে এবং এটি একটি হোক্স হতে পারে, কিন্তু কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।” অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনও বিস্ফোরক পাওয়া না গেলে আবার আদালতের কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ্য দেওয়া হয়। দিল্লি হাইকোর্টে এমন হুমকি নতুন নয়। অতীতে কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটেছে যা হোক্স প্রমাণিত হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে একটি “সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণ” হুমকির ইমেইল আসে, যার ফলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ২০১১ সালে আদালতের গেট নম্বর ৫ এর বাইরে একটি প্রকৃত বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ১১ জন নিহত হন। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে দিল্লির ৫০টিরও বেশি স্কুলে ‘টেররাইজার্স ১১১’ নামক একটি গ্রুপ থেকে বোমা হুমকি আসে, যাতে ২৫ হাজার ডলারের চাঁদা দাবি করা হয়।
এছাড়া, মার্চ মাসে রাজধানীর স্কুল, হাসপাতাল এবং সরকারি ভবনে একই ধরনের হুমকি আসে, যা সব হোক্স প্রমাণিত হয়। গুজরাট হাইকোর্টেও জুন মাসে একই ধরনের ইমেইল আসে, যার ফলে শুনানি স্থগিত হয়। এই ঘটনাগুলো দেখিয়ে দিচ্ছে যে, সন্ত্রাসবাদী গ্রুপ বা ছদ্মবাদীরা সাইবার মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে, যা জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
তবে কেন বারেবারে এই ধরণের হুমকি এবং নাশকতামূলক ইমেইল আসছে এবং তার উৎস কি তা খুঁজে বের করতে সচেষ্ট হয়েছে পুলিশের সাইবার সেল। সাম্প্রতিক কালে খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাকে প্রিওকাসশে চড় মারার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল সারাদেশ।
নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সুশীলা কারকি
তার সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছিল গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের নিরাপত্তা নিয়ে। শুধু তাই নয় গনেশ চতুর্থীর বিসর্জনের দিন মানব বোমায় মুম্বই কে মুছে ফেলার হুমকিও উদাহরণ স্বরূপ বলাই যাই। এই ধরণের ঘটনা কি করে ঘটছে এবং প্রশাসনের ঢিলেঢালা মনোভাবের প্রতি আঙ্গুল তুলছেন অনেক সমালোচকই।