SSC পরীক্ষার প্রস্তুতির নাম করে হোটেলের ঘরে চলত ISIS-এর জন্য বোমা তৈরির কাজ!

রাঁচি: বাইরে থেকে দেখে মনে হবে আর পাঁচটা সাধারণ অতিথিনিবাস। কিন্তু বন্ধ দরজার আড়ালে যে কি ভয়ংকর নাশকতার কাজ চলছিল, তার বিন্দুমাত্র আভাস পাওয়া দায়।…

রাঁচি: বাইরে থেকে দেখে মনে হবে আর পাঁচটা সাধারণ অতিথিনিবাস। কিন্তু বন্ধ দরজার আড়ালে যে কি ভয়ংকর নাশকতার কাজ চলছিল, তার বিন্দুমাত্র আভাস পাওয়া দায়। রাঁচির ইসলামনগরের তাবারক লজের ঘটনা স্তম্ভিত করে দেওয়ার মত। লজের অন্ধকারাচ্ছন্ন করিডোর পেরনোর পর ১৫ নম্বর ঘর। বাইরে কয়েকটা চটি রাখা। দরজায় উজ্জ্বল হলুদ রং করা।

কিন্তু এই বন্ধ দরজার আড়ালে বসেই ISIS জঙ্গিদের জন্য বোমা তৈরি করত আশার দানিশ নামক এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত সপ্তাহে আফতাব কুরেশি নামক এক জঙ্গিকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই রাঁচির অতিথিনিবাসে সরকারি চাকরির পরীক্ষার্থী দানিশের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এরপর ঝাড়খন্ড অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড অভিযান চালিয়ে দানিশ সহ আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে।

   

BJP নেতাদের ‘টার্গেট’ করার জন্য চলত নিয়োগ

Advertisements

সূত্রের খবর, বিজেপির বরিষ্ঠ নেতাদের টার্গেট করে খতম করার জন্য যুবকদের নিয়োগ করে দেওয়া হত ট্রেনিং। সরকারি চাকরির পরীক্ষার্থীর বেশে হোটেলের ঘরে বসেই ISIS-এর নির্দেশে বোমা বানাতেন দানিশ এবং তার সতীর্থরা। জানা গিয়েছে, হলুদ রঙের বন্ধ দরজার ভেতর ছোট্ট একটি ঘরে বসেই শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে চলত নাশকতারব ছক কষা।

ওই ঘর থেকে গানপাউডার, বোমা, পটাশিয়াম নাইট্রেট সহ একাধিক দেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু বোমা নয়, তাবারক লজের ১৫ নম্বর ঘরে পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের কাজও চলত বলে সূত্রের খবর। গত বছর এইভাবেই দানিশকে নিয়োগ করা হয়েছিল। সিগন্যাল মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে যুবকদের বাছাই করে ‘ইন্টার্ন ইন্টার্ভিউ’, ‘বিজনেস আইডিয়া’ নামক একাধিক গ্রুপ তৈরি করে নেওয়া হত ইন্টার্ভিউ।

এছাড়াও বোমা তৈরির সরঞ্জাম কেনার জন্য বিভিন্ন গ্রুপ থেকে চাঁদা তোলা হত। অ্যামাজন থেকে ছুরি এবং কেমিক্যাল অর্ডার করে দানিশের মত যুবকদের বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিত পাক-হ্যান্ডলার। বোমা গুলিকে তাঁরা নাম দিয়েছিল “মাদার অফ সাতান” অর্থাৎ, “শয়তানের মা”। ঘটনায় দানিশ, আফতাবের সঙ্গে সুফিয়ান খান, মহম্মদ হুজাইফ ইয়ামান এবং কামরান কুরেশি নামক তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন ধার্মিক স্থলে তাঁরা হামলার ছক কষছিল বলে নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে খবর।