বাংলা হোক বা তামিলনাড়ু, প্রতিপক্ষের শাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি (BJP)। তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক ময়দানে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। সম্প্রতি, তামিলনাড়ু বিজেপি সভাপতি কে. অন্নামালাই দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাঝাগম (DMK )-এর বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, “গুন্ডাগিরি DMK -এর রাজনৈতিক সংস্কৃতি।” তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তিরুবারুর একটি ঘটনায় DMK -এর একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তার দল একজন সাধারণ নাগরিকের উপর হামলা চালিয়েছে।
এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।অন্নামালাইয়ের অভিযোগ অনুসারে, তিরুবারুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পুরুষোত্তমন এবং তার সঙ্গীরা একজন ব্যক্তির বাড়ির সামনে ব্যানার লাগানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করেছে। এই ঘটনাকে তিনি DMK-এর রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “মন্ত্রী থেকে কাউন্সিলর পর্যন্ত, গুন্ডাগিরি DMK-এর রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ।”
তিনি দাবি করেছেন যে, DMK-এর নেতারা সামাজিক অপরাধীদের প্রশ্রয় দিয়ে তাদের পদে অধিষ্ঠিত করছে এবং এই প্রবণতা রাজ্যের জনগণ শীঘ্রই প্রতিহত করবে।এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এক্স-এ পোস্ট করা বিভিন্ন মন্তব্যে দেখা যায়, এই ঘটনা তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে হিংসার বাতাবরণ তৈরী করছে।
অন্নামালাই আরও বলেন, “DMK-এর নেতারা কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থে কাজ করছে এবং জনগণের সমস্যার প্রতি তাদের কোনও মনোযোগ নেই।” তিনি দাবি করেছেন যে, DMK-এর এই ধরনের কার্যকলাপ রাজ্যের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে এবং শীঘ্রই তারা এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাবে।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে DMK-এর পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের অভিযোগ তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিজেপি, যারা রাজ্যে তাদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে, তারা DMK-এর বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। অন্নামালাইয়ের এই বক্তব্যকে অনেকে বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন।
যার মাধ্যমে তারা DMK-এর শাসনের দুর্বলতাগুলো তুলে ধরতে চাইছে।তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে গুন্ডাগিরি এবং হিংসার অভিযোগ নতুন নয়। অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। তবে, অন্নামালাইয়ের মতো একজন প্রভাবশালী নেতার এই ধরনের সরাসরি সমালোচনা DMK-এর জন্য রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, “DMK-এর নেতারা জনগণের কণ্ঠকে দমন করার জন্য হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।”এই ঘটনা তামিলনাড়ুর জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে পারে। বিশেষ করে, তরুণ ভোটাররা এই ধরনের ঘটনার প্রতি সংবেদনশীল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে DMK-এর বিরুদ্ধে জনমত গঠনের চেষ্টা করছে।
CPIM : নিজেদের সব দলীয় দফতরেই বিয়ের আসর বসাতে চায় সিপিএম!
তবে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে DMK-এর শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো এবং রাজ্যে তাদের গভীর প্রভাবের কারণে এই অভিযোগগুলো তাদের রাজনৈতিক অবস্থানে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করেছেন বিজেপি চায় বিরোধী শূন্য রাজনীতি, একছত্র নায়ক হতে।