কৃষক আন্দোলনে উত্তাল বিজেপি-রাজ্য! লাইনে দাঁড়ালেন বিধায়ক!

ভোপাল: সার-সংকটে ত্রাহি ত্রাহি রব মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের (Farmers)। আধিকারিকদের সঙ্গে ধুন্ধুমার বাঁধল উত্তেজিত চাষিদের। এমনকি আন্দোলনের জেরে হেলমেট মাথায় ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হল বিধায়ককেও। কয়েকদিন আগে রেওয়া জেলায় কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অন্যদিকে, সাতনা জেলায় চাষিদের আন্দোলনের জেরে রাস্তা বদলাতে হয় বিজেপি সাংসদ প্রতিমা বাগড়িকে।

Advertisements

ভিন্দ, মোরেনা, শেওপুর, রেওয়া থেকে সাতনা বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যের একাধিক জেলায় কৃষক আন্দোলনের ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে শিবপুরি। যেখানে দেখা গিয়েছে পোহরি বিধানসভার কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক কৈলাস কুশওয়াহার মাথায় হেলমেট এবং সাধারণ পোশাকে কৃষকদের (Farmers) সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সারের টোকেনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।

তিনি বলেন, “ভোর ৪টা থেকে কৃষকরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন, তবুও কোনও কর্মকর্তা, এসডিএম, বা তহসিলদারের দেখা নেই। ধাক্কাধাক্কি চলছে, বসার কোনও ব্যবস্থা এমনকি পানীয় জল পর্যন্ত নেই”। তাঁর অভিযোগ, ‘মুখ দেখে’ পাট্টাধারী বা গ্রামের হিসাবরক্ষকদের সারের জন্য টোকেন দেওয়া হচ্ছে। আসল চাষিরাই সারের টোকেন পাচ্ছেন না।

কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, “এটা অন্যায়। শৃঙ্খল ভেঙে পড়েছে!” বপনের মরশুমে ডিএপি এবং ইউরিয়া সারের অভাবে বেশ কয়েকটি গ্রামে চাষের কাজ শুরুই করতে পারেননি কৃষকরা বলে জানা গিয়েছে। সেইসব গ্রামে পরিথিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ।

কৃষক কল্যাণ ও কৃষি উন্নয়ন মন্ত্রীর ভিন্ন দাবী!

Advertisements

বিশৃঙ্খলা সত্ত্বেও রাজ্যের কৃষক কল্যাণ ও কৃষি উন্নয়ন মন্ত্রী এদল সিং কানসানার দাবী, রাজ্যের সব জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সার পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, ১ এপ্রিল থেকে ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সালের মধ্যে, রাজ্যে ১৮.৩৪ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া মজুদ ছিল, যার মধ্যে ১৬.১৯ লক্ষ মেট্রিক টন বিক্রি হয়েছে।

প্রায় ২.১৫ লক্ষ মেট্রিক টন মজুদ রয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিএপি + এনপিকে সারের জন্য ১৩.৯৬ লক্ষ মেট্রিক টন মজুদ ছিল, যার মধ্যে ৯.৭১ লক্ষ মেট্রিক টন বিক্রি হয়ে গেছে। মন্ত্রীর দাবী, প্রতিদিন জেলাগুলিতে ৭-৮ টি করে সারের র‍্যাক আসছে।

বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন!

যদিও কৃষক কল্যাণ ও কৃষি উন্নয়ন মন্ত্রীর দাবির সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। লানিয়ে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বিভিন্ন জেলায় সার না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা (Farmers)। অনেকেই আন্দোলন, ধাক্কাধাক্কির জেরে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন।