‘প্রতারণার মহাজোট’: তেজস্বী মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতেই ‘জঙ্গল রাজ ও দুর্নীতি’র তোপ BJP-র

BJP Slams RJD over Bihar 'Jungle Raj'

পাটনা: মাস ঘুরলেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার ঠিক আগে রাজনীতির ময়দানে উত্তাপ আরও একধাপ বেড়ল। বৃহস্পতিবার তীব্র আক্রমণ শানিয়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) ও মহাগাঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব-কে ‘জঙ্গল রাজ’ ও দুর্নীতির জন্য দায়ী বলে অভিহিত করল বিজেপি। পদ্মশিবিরের নেতাদের অভিযোগ, বিহারে RJD শাসনের সময় কোনও কাজই দুর্নীতি ছাড়া সম্ভব হয়নি।

Advertisements

এই আক্রমণ এসেছে ঠিক সেই মুহূর্তে, যখন মহাগঠবন্দন তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে তেজস্বী যাদব বলেন, “বিহারের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভয়াবহ। ক্ষমতায় এলে আমরা দুর্নীতি রুখে দেব। যাঁরা লঙ্ঘন করবেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের লক্ষ্য একটি নতুন, বিকশিত বিহার গড়ে তোলা।”

বিজেপির আক্রমণ এবং মন্তব্য

উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য মহাগঠবন্দনকে আক্রমণ করে বলেন, “এই জোট এখন প্রতারণার মহাজোটে রূপান্তরিত হয়েছে। লালু প্রসাদ যাদব ও রাবড়ি দেওড়ি দুর্নীতি এবং জঙ্গল রাজের প্রতীক। তেজস্বী যাদবও এ থেকে মুক্ত নন। এই পরিবারগুলোর অধিকাংশেই মামলায় জামিনে রয়েছেন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “যাদব পরিবার এখন গান্ধী পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। দুর্নীতির দিক থেকে এই দুই রাজনৈতিক পরিবারের মধ্যে বিস্তর মিল রয়েছে। সাধারণ মানুষ এখন তাদের প্রকৃত চেহারা দেখেছে। মহাগাঠবন্ধন এখন শুধুই প্রতারণার জোটে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষের আস্থা এখন এনডিএর প্রতি—বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার-এর দিকে।”

বিজেপির সিনিয়র নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ তেজস্বী যাদবকেও নিশানা করে বলেন, “লালু যাদব ফডার কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তেজস্বীর বিরুদ্ধে ট্রায়াল ২৭ অক্টোবর দিল্লি আদালতে শুরু হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, তার বাবার রেলমন্ত্রী থাকা সময়ে IRCTC হোটেল চুক্তি জমির বিনিময়ে দেওয়া হয়েছিল। তেজস্বী ৪২০ ধারায় অভিযুক্ত। চাকরি নাও, জমি দাও—এটাই তাঁদের নীতি। তাঁদের কোনো কাজই দুর্নীতির ছাড়া সম্ভব নয়।”

Advertisements

তেজস্বীর পাল্টা প্রতিশ্রুতি BJP Slams RJD over Bihar ‘Jungle Raj’

তেজস্বী যাদব ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালীন লড়াই চালাবেন।

“ঝড়ের সঙ্গে লড়াই করা আমাদের জন্য আনন্দের। আমরা সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছি, এবং আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব। আমরা লড়ব এবং জিতব। আমরা বিহারিরা, বাইরের কেউ আমাদের ভয় দেখাতে পারবে না।”

বিহারের এই নির্বাচন মহাপর্যায় এখন দুর্নীতি, ক্ষমতার লড়াই এবং রাজনীতির উত্তাপকে কেন্দ্র করে। তেজস্বী যাদব এবং বিজেপি দুই পক্ষই নিজেদের প্রতিশ্রুতি ও কৌশলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা রাজ্যবাসীর ভোটের নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।