বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (JP Nadda) পদে রয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এবার জেপি নাড্ডাকে আরও বড় দায়িত্ব দিল বিজেপি। রাজ্যসভায় বিজেপির নতুন দলনেতা (JP Nadda) হিসেবে নিয়োগ করা হল তাঁকে। নাড্ডা পূর্বসূরি পীযূষ গয়াল এবার লোকসভায় জিতে সংসদে গিয়েছেন। ফলে তাঁর পদটি শূন্য ছিল। সেখানেই বসানো হল নাড্ডাকে।
জেপি নাড্ডা – বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ছাড়াও জেপি নাড্ডা কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রীও। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করছেন। নাড্ডা হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। তবে তাঁর জন্ম বিহারে। আর বর্তমানে গুজরাত থেকে রাজ্যসভার সদস্য তিনি। নাড্ডা ছাড়াও সংসদের উচ্চকক্ষের (রাজ্যসভা) ১১ জন সদস্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রয়েছেন।
শপথ গ্রহণের পরে, জল্পনা ছিল যে নাড্ডা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা ঘটেনি। ২০২০ সালে বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পর বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাড্ডা।
নবান্নে রণংদেহী মমতা! পুর-পরিষেবা জবরদখল নিয়ে মন্ত্রী-মেয়রদের চাঁচাছোলা ভর্ৎসনা
কবে নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি পাবে বিজেপি?
দলীয় নিয়ম অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ রাজ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন সম্পন্ন হলেই সর্বভারতীয় সভাপতি নিয়োগ করা হয়। গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে অন্তত ৬ মাস লাগবে। তাই ডিসেম্বর-জানুয়ারির আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নির্বাচন হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
জেপি নাড্ডার রাজনৈতিক যাত্রা
জেপি নাড্ডা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ থেকে তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ আরএসএস-এর ছাত্র শাখা। নাড্ডা ১৯৯১ সালে দলের যুব শাখার (ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা) নেতা হন। ২০১২ সালে হিমাচল প্রদেশ থেকে প্রথম রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে অমিত শাহ দলের সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের সদস্য হন তিনি।
লোকসভায় ঢুকতেই কংগ্রেস সাংসদের চোখে জল! কী এমন ঘটল?
নাড্ডা হিমাচল প্রদেশের বিধায়ক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি বিলাসপুর আসন থেকে তিনবার জিতেছিলেন – ১৯৯৩, ১৯৯৮, ২০০৭। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। চলতি বছর এপ্রিলে জেপি নাড্ডা গুজরাত থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন।