প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মা’কে টেনে কু-মন্তব্যের রেশ কলকাতা-পাটনার পর এবার চণ্ডীগড়ে। বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধুন্ধুমার, চালানো হল জলকামান। বিহারে ইন্ডিয়া জোটের ভোটার অধিকার যাত্রা (Voter Adhikar Yatra) থেকে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রয়াত মা-কে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে অভিযোগে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)।
শুক্রবার এই নিয়ে কলকাতার কংগ্রেস অফিস, বিধান ভবনে ঢুকে ভাঙচুর ও রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতানেতৃদের ছবিতে কালি লাগানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাকেশ সিং এখনও অধরা। অন্যদিকে, গতকালই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাটনায় কংগ্রেস-বিজেপি তুলকালাম সংঘর্ষ বাঁধে।
শনিবার চণ্ডীগড়ে বিজেপি সমর্থকদের দলীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে গার্ড রেলের পেছন থেকে জলকামান চালায় চণ্ডীগড় পুলিশ। সংবাদসংস্থার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবাদকারীদের রাস্তায় বসে পড়েছেন। সেইসঙ্গে চলছে স্লোগান। বিহারের দ্বারভাঙ্গার সভায় নরেন্দ্র মোদীর মা-কে টেনে কুমন্তব্য করা মহম্মদ রিজভিকে শুক্রবারই গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি ওই ব্যক্তিকে ‘কংগ্রেস নেতা’ বলে দাবি করলেও শিবরাজ সিং চৌহান সহ একাধিক বিজেপি নেতার সঙ্গে ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই রিজভির রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
পবন খেরা সহ কংগ্রেসের(Congress) অন্যান্য নেতারা দাবি করেছেন, বিজেপির এটা চেনা ‘স্ট্র্যাটেজি’। নিজেদের লোক ঢুকিয়ে গোলমাল পাকিয়ে তারপর আন্দোলন-প্রতিবাদ করে সহানুভূতি কুড়িয়ে ভোটে জেতার ছক বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, ভিডিও করে কলকাতার কংগ্রেস অফিস ভাঙচুরের দায়ভার স্বীকার করলেও এখনও অধরা দক্ষিণ কলকাতার বিজেপির ‘বাহুবলী’ নেতা রাকেশ সিং। এই বিতর্কের মধ্যেই রাহুল গান্ধীর “প্রধানমন্ত্রী, তাঁর স্বর্গবাসী মা এবং সমগ্র দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা”র দাবি জানিয়েছেন অমিত শাহ।