Hijab Row: হিজাব নিয়ে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে হিন্দুরা বরদাস্ত করবে না: স্বাধ্বী প্রজ্ঞা

হিজাব ইস্যুতে উত্তপ্ত গোটা দেশ। হিজাব বিতর্কের আঁচ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়েছে। এবার এই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা। তিনি একটি…

হিজাব ইস্যুতে উত্তপ্ত গোটা দেশ। হিজাব বিতর্কের আঁচ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়েছে। এবার এই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা। তিনি একটি অনুষ্ঠানে জানান, ‘কোথাও হিজাব পরার প্রয়োজন নেই। যারা ঘরে নিরাপদ নয় তাদের হিজাব পড়া উচিৎ।’

তিনি আরও বলেন, কিন্তু বাইরে যেখানে ‘হিন্দু সমাজ’ রয়েছে বিশেষ করে যেখানে তাঁরা পড়াশোনা করেন সেখানে তাদের হিজাব পরতে হবে না। যেখানে হিজাব পরা উচিৎ অর্থাৎ মাদ্রাজায় পড়ুয়াদের হিজাব পড়া উচিৎ। কিন্তু দেশের বাকি স্কুল-কলেজে এই হিজাব নিয়ে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করলে তা হিন্দুরা বরদাস্ত করবে না।’

   

এদিন সাংসদ হিজাব আর খিজাবের পার্থক্যও স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ‘খিজাব চাপিয়ে দেওয়া হয় শ্বেতাঙ্গতা দূর করার জন্য। বৃদ্ধকে আড়াল করার জন্য। হিজাব মানে মুখ লুকানোর জন্য। হিজাব মুখে লাগিয়ে বাইরে আসতে হবে। কেন? কার ভয়ে এবং কার থেকে আড়াল করতে হবে মুখকে? আমি বলছি, যারা কুদৃষ্টিতে তাকায় তাঁদের থেকে নিজেদের মুখ ঢেকে রাখা উচিৎ। একটা কথা নিশ্চিত যে, হিন্দুদের কোনও খারাপ মনোভাব নেই। যেখানে একজন নারীকে পূজা করা হয়, সেখানে তা চিরস্থায়ী।’

তিনি আরও বলেন, ‘সনাতনের সংস্কৃতিই হল, মহিলাদের পুজো করা । এমনকি এখানে দেবতাদেরও যখন দুষ্টদের হত্যা করার প্রয়োজন হয়, তখন তারা দেবীকে ডাকে। নারীর স্থানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের স্থানই সবচেয়ে বড় কথা। যেখানে নারীদের এত উঁচু জায়গা, সেখানে কি সে দেশে হিজাব পরার প্রয়োজন আছে? ভারতে হিজাব পরার কোনো প্রয়োজন নেই।’